

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গভীর সমুদ্রজুড়ে গবেষণা ও দুর্যোগ সহনশীল স্থাপনা তৈরির লক্ষ্যে চীন তৈরি করছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম ভাসমান দ্বীপ। অসাধারণ টেকসই কাঠামোর এই দ্বীপটি পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে শুরু করে তীব্র ঘূর্ণিঝড় পর্যন্ত—সব ধরনের চরম পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম হবে।
দ্বীপটির ওজন ধরা হচ্ছে প্রায় ৭৮ হাজার টন, এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৮ সালে এটি পুরোপুরি কার্যক্রমে যুক্ত হবে।
৬ থেকে ৯ মিটার উচ্চতার ঢেউ মোকাবিলা করতে পারবে, ক্যাটাগরি–১৭ পর্যন্ত ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় সহ্য করতে সক্ষম, অর্ধ-ডুবন্ত, চলনযোগ্য টুইন-হাল প্ল্যাটফর্ম, কোনো রসদ ছাড়াই টানা চার মাস ২৩৮ জনকে আশ্রয় দিতে পারবে।
প্রকল্পটির প্রধান বিজ্ঞানী লিন ঝংকুইন জানিয়েছেন, দ্রুতগতিতে নকশা ও নির্মাণ কাজ এগোচ্ছে এবং নির্ধারিত সময়েই সুবিধাটি ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্য রয়েছে।
দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্টের তথ্য অনুযায়ী, দ্বীপে ব্যবহৃত বিশেষ ‘মেটামেটেরিয়াল স্যান্ডউইচ প্যানেল’ আঘাতের শক্তিকে নরম চাপের মধ্যে পরিণত করতে পারে—যা বিস্ফোরণ বা বিশাল ঢেউয়ের সময় স্থাপনাকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে।
শাংহাই জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ইয়াং দেকিং ও তার দল বলছেন, এটি গভীর সমুদ্রে সারাবছর পরিচালনাযোগ্য একটি বৈজ্ঞানিক স্থাপনা হবে।
দ্বীপের সুপারস্ট্রাকচারে থাকবে—জরুরি বিদ্যুৎব্যবস্থা, যোগাযোগ ও নেভিগেশন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকেও রক্ষা করতে সক্ষম সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা
যদিও এটি সাধারণ বৈজ্ঞানিক স্থাপনা বলে জানিয়েছে চীন, এর নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে সামরিক মানের জিজিবি ১০৬০.১–১৯৯১ পারমাণবিক বিস্ফোরণ প্রতিরোধ মানদণ্ড।
দৈর্ঘ্য: ১৩৮ মিটার, প্রস্থ: ৮৫ মিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রধান ডেকের উচ্চতা: ৪৫ মিটার।
মন্তব্য করুন
