রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমিকম্পের পর মাথা ঘোরা বা বমি ভাব: করণীয় কি?

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪১ পিএম আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:০০ পিএম
expand
ভূমিকম্পের পর মাথা ঘোরা বা বমি ভাব: করণীয় কি?

ভূমিকম্পের পর মাথা ঘোরা বা দেহের ভারসাম্য হারানোর অনুভূতি অনেকের জন্য স্বাভাবিক।

তবে এটি হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ শুধু পরিবেশকেই নাড়িয়ে দেয় না, শরীর ও মনও এতে প্রভাবিত হয়।

ভূমিকম্প থেমে যাওয়ার পর অনেকের মাথা ঘুরতে পারে, শরীর দুলতে পারে বা চারপাশ অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। এমন হলে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই ভালো।

কেন মাথা ঘোরে?

ভূমিকম্পের সময় চোখ, কান ও শরীরের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী অঙ্গগুলো অতিরিক্ত সক্রিয় হয়ে যায়। কম্পন থেমে গেলেও মস্তিষ্ক কিছুক্ষণ সেই নড়াচড়াকে স্মৃতির মতো ধরে রাখে, যার ফলে ভারসাম্য ঠিক রাখতে সমস্যা হয়।

গবেষণার ভিত্তি: ইউনিভার্সিটি অব টোকিও ২০২২ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, শক্তিশালী কম্পনের সময় ভেস্টিবুলার সিস্টেম অতিসক্রিয় হয়ে যায়। ফলে কম্পন থেমে যাওয়ার পরও কিছু সময় মাথা ঘোরা বা দুলার অনুভূতি থাকতে পারে।

মানসিক প্রভাব: স্ট্যানফোর্ড সাইকোলজি ল্যাব জানায়, আতঙ্ক বা বিপদের মুহূর্তে করটিসল হরমোন বৃদ্ধি পায়। এর ফলে মাথা ঝিমঝিম করা, বমিভাব বা ঘোরা অনুভূত হতে পারে।

দীর্ঘ সময় কম্পনের প্রভাব: নেচার হিউম্যান বিহেভিয়ার ২০২৩ সালের গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় কম্পনের মধ্যে থাকলে মস্তিষ্ক কিছু সময় কম্পন চলছিল এমন মনে রাখে, ফলে শরীর এখনও দুলতে থাকে।

সাধারণ নিয়ম

ভূমিকম্পের পর মাথা ঘোরা ১০-৩০ মিনিটের মধ্যে কমে যায় এবং পানি খাওয়া, বিশ্রাম বা ঘুমের পর স্বাভাবিক হয়। এটি সাধারণ ভেস্টিবুলার প্রতিক্রিয়া।

সতর্কতা

যদি মাথা ঘোরা ২৪ ঘণ্টার বেশি থাকে, বারবার বমি হয়, দেহ অসাড় লাগে বা হাঁটতে কষ্ট হয়—তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা জরুরি।

করণীয়

দাঁড়িয়ে থাকলে ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে; তাই বসে চোখ বন্ধ করুন।

পানি পান করুন—ডিহাইড্রেশন মাথা ঘোরানো বাড়ায়।

গভীর শ্বাস নিন: চার সেকেন্ডে শ্বাস নিন, ছয় সেকেন্ডে ছাড়ুন।

রক্তে গ্লুকোজ কমে গেলে মাথা ঘোরা বেশি হতে পারে, তাই কিছু খাবার খেয়ে নিন—বিস্কুট বা ফল উপকারে আসে।

মোট কথা, ভূমিকম্পের পর সাময়িক মাথা ঘোরা স্বাভাবিক, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী বা তীব্র অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন