

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইন্দোনেশিয়ায় বয়সে ৫০ বছরের ব্যবধান থাকা এক দম্পতির বিয়ে এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। ৭৪ বছর বয়সী তরমান বিয়ে করেছেন মাত্র ২৪ বছর বয়সী তরুণী শেলা আরিকাকে।
এ বিয়েতে দেনমোহর হিসেবে বর নববধূকে দিয়েছেন প্রায় তিন বিলিয়ন রুপিয়াহ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই কোটি ২১ লাখ টাকা সমান।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিয়ের আয়োজনটি হয় ১ অক্টোবর ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার পাসিতান রিজেন্সি এলাকায়।
বিয়ের দিন অনুষ্ঠানে তরমান প্রকাশ্যে তার নববধূকে দেনমোহরের চেক হস্তান্তর করেন। শুরুতে জানা গিয়েছিল দেনমোহরের পরিমাণ হবে এক বিলিয়ন রুপিয়াহ, তবে বিয়ের দিন তা বাড়িয়ে তিন বিলিয়ন রুপিয়াহ করা হয়।
অতিথিদেরও দেওয়া হয় এক লাখ রুপিয়াহ করে নগদ উপহার। কিন্তু বিয়ের পরই ঘটনার মোড় ঘুরে যায়- বিয়ের ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি প্রতিষ্ঠান অভিযোগ করে, নবদম্পতি তাদের সেবার টাকা না দিয়েই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন।
এ অভিযোগ ঘিরে ইন্দোনেশিয়াজুড়ে নতুন আলোচনার জন্ম নেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ায়, বর তরমান নাকি কনের পরিবারের মোটরসাইকেলে চড়ে পালিয়ে গেছেন! কেউ কেউ আবার সন্দেহ প্রকাশ করেন, তিন বিলিয়ন রুপিয়াহর দেনমোহরের চেকটি আদৌ বৈধ কি না।
কনের এক আত্মীয় লাইভস্ট্রিমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা আগে থেকেই সাবধান করেছিলাম, কিন্তু সে শোনেনি। এখন বিপাকে পড়েছে।
সমালোচনার মুখে বর তরমান পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পষ্ট করে জানান, দেনমোহর বৈধ এবং এটি ইন্দোনেশিয়ার ব্যাংক সেন্ট্রাল এশিয়া থেকে অনুমোদিত। তিনি আরও বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে ছেড়ে যাইনি, আমরা একসঙ্গেই আছি।
অন্যদিকে, কনের পরিবারও দাবি করে যে, নবদম্পতি পালিয়ে যাননি; তাঁরা শুধু মধুচন্দ্রিমায় গেছেন। তবে ফটোগ্রাফি প্রতিষ্ঠানের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রশাসন এখন তদন্ত শুরু করেছে।
সামাজিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইন্দোনেশিয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান কমার প্রবণতা বেড়েছে। তাই ৫০ বছরের ব্যবধানের এই বিয়েটি স্থানীয় সমাজে একেবারেই ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মন্তব্য করুন
