

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাজার উদ্দেশ্যে যাওয়া মানবিক সহায়তা বহনকারী ‘সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটক এবং শতাধিক আন্তর্জাতিক অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
স্পেন থেকে ইতালি, লন্ডন থেকে ওয়াশিংটন—নানা দেশের শহরগুলোতে মানুষ রাস্তায় নেমে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করছে ও আটক ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি তুলছে।
১ ও ২ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপকূলের নিকটবর্তী আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফ্লোটিলার একাধিক নৌযান থামিয়ে দেয়। পরে অন্তত ২৫০ জনকে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
স্পেনে হাজারো শিক্ষার্থী ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে রাস্তায় নেমে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের আহ্বান জানান। ইতালির রোম, মিলান, নেপলস, তুরিন ও জেনোয়া শহরেও একই দাবিতে গণসমাবেশ হয়। দেশটির শ্রমিক ইউনিয়নগুলো শুক্রবার সারা দেশে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
লন্ডনে সংসদ ভবন থেকে ডাউনিং স্ট্রিট পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল হয়। অংশগ্রহণকারীরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত শিশুদের ছবি তুলে ধরে গাজা অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে সমাবেশে ফ্লোটিলায় থাকা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। আটক মার্কিনদের মধ্যে পাঁচজন সাবেক সেনা ও একজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্য রয়েছেন।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লাতেও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মিছিল হয়। শহরের কেন্দ্র দিয়ে শোভাযাত্রা করে স্থানীয়রা গাজা অবরোধের বিরুদ্ধে অবস্থান জানান।
গাজা অবরোধ ভাঙার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সমন্বয়কারী সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু ব্রেক দ্য সিজ’-এর প্রধান জাহির বিরাওয়ি শাফাক নিউজকে বলেন, এই বিক্ষোভগুলো ইসরায়েলি অবরোধের বিরুদ্ধে যেন বিশ্বব্যাপী গণভোটের প্রতিচ্ছবি। তিনি জানান, গাজার উদ্দেশ্যে আরেকটি ফ্লোটিলা যাত্রা করছে, যা ধারাবাহিক ‘ফ্রিডম ওয়েভস’ অভিযানের অংশ।
মন্তব্য করুন
