শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্রেটা থুনবার্গ নেতৃত্বে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
গ্রেটা থুনবার্গ নেতৃত্বে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা
expand
গ্রেটা থুনবার্গ নেতৃত্বে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা, যা কখনো কখনো গ্লোবাল ফ্রিডম ফ্লোটিলা নামে পরিচিত, ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে চালু হয়। এই আন্তর্জাতিক, নাগরিক সমাজ-নেতৃত্বাধীন উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙা। এর নামকরণ করা হয়েছে আরবি শব্দ সুমুদ থেকে, যার অর্থ অটলতা বা সহনশীলতা।

আপনার তথ্য অনুযায়ী: গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা হলো একটি আন্তর্জাতিক, নাগরিক সমাজ-নেতৃত্বাধীন নৌবহর, যার লক্ষ্য গাজার উপত্যকার ওপর ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙা। এর অন্যতম পরিচিত মুখ গ্রেটা থুনবার্গ।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নৌবহরটি গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার (২০০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করছে। অংশগ্রহণকারীরা সবকিছু সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, এবং প্রতিটি জাহাজে খাদ্য, ওষুধ ও জরুরি সহায়তার ব্যবস্থা রয়েছে। নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও নৌবহরের সদস্যরা শান্ত এবং সজাগভাবে তাদের যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন।

নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, অংশগ্রহণকারীরা আশঙ্কা করছেন যে ইসরায়েলি বাহিনী নৌবহরকে থামাতে বা আটকাতে পারে। তবে নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকারীরা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে, এই অভিযান সম্পূর্ণ মানবিক উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে নৌবহর গাজার উপকূলে পৌঁছে সেখানে সহায়তা বিতরণ করবে।

এই উদ্যোগটি ২০২৫ সালের জুলাই মাসে, গাজা যুদ্ধে চলাকালীন, ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা এবং মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা প্রমুখ সংস্থার উদ্যোগে শুরু হয়। এতে ৫০টিরও বেশি নৌযান ও ৪৪টিরও বেশি দেশের হাজারো অংশগ্রহণকারী যুক্ত হয়, যা এটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নাগরিক-নেতৃত্বাধীন বহর হিসেবে গড়ে তোলে। ২০১০ সালের আগে ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙার কিছু প্রচেষ্টা সফল হলেও পরবর্তী বছরগুলোতে জাহাজগুলো আটক বা আক্রমণের শিকার হয়েছে। ২০২৫ সালের মে, জুন ও জুলাই মাসে কয়েকটি জাহাজে ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে, এবং সেপ্টেম্বরে তিনটি ড্রোন হামলার খবর পাওয়া যায়। এর পর তিনটি নৌযানকে সহায়তার জন্য পাঠানো হয়।

ফ্লোটিলা আগস্টের শেষের দিকে ওত্রান্তো, জেনোয়া ও বার্সেলোনা থেকে রওনা হয়। সেপ্টেম্বরের শুরুতে কাটানিয়া, সাইরস ও তিউনিস থেকেও নৌবহর যাত্রা শুরু করে। কনভয়গুলোর মধ্যে কিছু তীব্র বাতাস ও ঝড়ের কারণে বিলম্বিত হয়। ৩ সেপ্টেম্বর ইতালীয় কনভয় সিসিলিতে পৌঁছায় এবং তিউনিসীয় জাহাজগুলো তিউনিসে মিলিত হয়। ৭ সেপ্টেম্বর স্প্যানিশ কনভয়ের একটি অংশ উত্তর তিউনিসিয়ায় পৌঁছালে ৯ সেপ্টেম্বর একটি প্রধান জাহাজে আগুন লাগে, যা ড্রোন হামলার ফল বলে সন্দেহ করা হয়। পরদিন রাতে আরেকটি জাহাজে দ্বিতীয় অগ্নিসংযোগ ঘটে। ১৯ সেপ্টেম্বর স্প্যানিশ ও তিউনিসীয় কনভয় সিসিলিতে মিলিত হয়ে গ্রিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ২২ সেপ্টেম্বর গ্রিক কনভয় মিলোস থেকে ক্রিটের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এবং পরদিন পৌঁছায়।

এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন এক ডজনেরও বেশি বিদেশমন্ত্রী, ইতালীয় রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দল, স্পেন ও পর্তুগালের সংসদ সদস্যরা, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেস্কা আলবানিজে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন