শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কী, কেন আলোচনায়?

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৭ পিএম
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কী, কেন আলোচনায়?
expand
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কী, কেন আলোচনায়?

ভূমধ্যসাগর থেকে গাজার উপকূলের দিকে যাত্রা করা আন্তর্জাতিক নৌবহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও গণমাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রে। সুপরিচিত পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের নেতৃত্বে এই বহরটি গাজার জনগণের জন্য খাদ্য ও ওষুধসহ মানবিক সহায়তা নিয়ে এগোচ্ছে।

সর্বশেষ তথ্যমতে, নৌবহরটি গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার (২০০ নটিক্যাল মাইল) দূরে অবস্থান করছে। প্রতিটি জাহাজেই খাদ্য, ওষুধ এবং জরুরি সহায়তা মজুত রয়েছে। নিরাপত্তা হুমকি থাকলেও অংশগ্রহণকারীরা শান্ত ও সতর্কভাবে যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন।

অংশগ্রহণকারীদের শঙ্কা, ইসরায়েলি বাহিনী যে কোনো সময় বহরটিকে থামাতে বা আটকাতে পারে। যদিও নৌবহরের সদস্যরা জোর দিয়ে বলছেন, এটি সম্পূর্ণ মানবিক উদ্যোগ, রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য নেই।

এটি এক আন্তর্জাতিক নৌযাত্রা, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবক, মানবাধিকারকর্মী ও পরিবেশকর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। তাদের মূল লক্ষ্য হলো:

গাজার অবরুদ্ধ জনগণের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া। আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা। রাজনৈতিক চাপ ও মানবিক সংকটের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা তৈরি করা।

গাজার চলমান অবরোধ এবং উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে এই নৌযাত্রা ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

নিরাপত্তা ঝুঁকি: ইসরায়েল নৌবহরকে ‘বিপদসীমা’তে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করছে।

আইনি প্রশ্ন: আন্তর্জাতিক আইনের আলোকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজ আটকানো বৈধ নয়, যদি না সুনির্দিষ্ট হুমকির প্রমাণ থাকে।

মানবিক দিক: যেহেতু বহরে খাদ্য ও ওষুধ বহন করা হচ্ছে, তাই এটিকে মানবিক উদ্যোগ হিসেবেই দেখা উচিত।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা কেবল একটি মানবিক ত্রাণ বহর নয়; বরং এটি আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও রাজনীতির এক সংবেদনশীল সমীকরণে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বহরটি গাজার উপকূলে পৌঁছাতে পারবে কিনা, সেটিই এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন