

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার পর এবার পর্তুগালও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো রাঞ্জেল এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া পর্তুগালের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক ও ধারাবাহিক অংশ।
রাঞ্জেল আরও জানান, ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র টেকসই পথ হলো দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান। এসময় তিনি গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং বলেন, হামাস যেন গাজা বা অন্য কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারে। একই সঙ্গে সব জিম্মিদের মুক্তির দাবিও তোলেন তিনি।
গাজার মানবিক বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে পর্তুগিজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার মানে এই নয় যে সেখানে চলমান সংকট শেষ হয়ে গেছে। তিনি গাজার দুর্ভিক্ষ, ধ্বংসযজ্ঞ এবং পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি সম্প্রসারণের নিন্দা জানান।
ফিলিস্তিনি নেতারা পর্তুগালের এ সিদ্ধান্তকে ‘ঐতিহাসিক মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। ফাতাহ নেতা মোহাম্মদ শটাইয়ে এটিকে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বে পরিচালিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বড় অর্জন বলে উল্লেখ করেন। অন্য এক ফিলিস্তিনি শীর্ষ নেতা এটিকে গাজাবাসীর অধিকার প্রতিষ্ঠার দিকে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে আখ্যা দেন এবং আন্তর্জাতিক মহলকে ইসরাইলের যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আবারও দাবি করেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হবে না। তিনি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করে বলেন, এতে সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে, যা ইসরাইল কোনোভাবেই মেনে নেবে না।
মন্তব্য করুন
