

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। তিনি সেখানে দলীয় ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নানা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন।
রোববার তার সম্মানে নিউ ইয়র্ক সিটিতে বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা মনে করছেন সেখানে প্রায় ২০ হাজার মানুষের সমাগম হবে।
এদিকে জামায়াত আমির যে হোটেলে উঠেছেন সেখানে এসেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। তিনি জামায়াত আমিরের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেন। এই রকম একটি ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক ইলিয়াস জানান, আমীর সাহেবের সাথে সাক্ষাতের পর লবি দিয়ে হেটে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ দেখি পেছন থেকে আমীর সাহেবের ছোট ভাই ভিডিও করছেন৷ নজরুল ভাই যেহেতু কষ্ট করে ভিডিও করেছেন তাই আপলোড দিয়ে দিলাম৷
তিনি আরও লিখেন, সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয় এক পরিচিত ব্যক্তি সম্প্রতি বলেছেন, তিনি কোনো এক দল—বিশেষ করে জামায়াত বা বিএনপির—পইত্রিক সমর্থক নন এবং দুইদলকেই সমান ভাবেন। তিনি দাবি করেছেন, ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব বা ছবি তোলা কোনো দলের প্রতি তার পক্ষপাত নয়।
কঠিন সময়ে তিনি কখনও একদলকে উসকে তোলেননি বা অন্য দলকে নিচে দেখাতে বলেননি, এমনটাই জানান তিনি। বলেন, “গত ১৫ বছরের কঠিন সময় কেউ বলতে পারবেন না আমি কখনও জামাতকে উপরে তুলেছি বা বিএনপিকে নিচে নামিয়েছি। দুই দলের প্রতি আমার সমান মনোভাব ছিল।”
তিনি আরও বলেন, কোথাও যদি দলের কোনো লোক নিপীড়িত হয়েছে, তা যেন পরিবারের কারও ওপর আক্রমণের মতো মনে হয়েছে—সেই অনুভূতিই তার রাজনৈতিক সততা প্রমাণ করে। একই সঙ্গে উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক মনোবৈকল্য বা বিপথগামী আচরণে তিনি সমালোচনামূলক। বিএনপি বা জামায়াত—যে কোনো দলই যদি ৭১-এর ইতিহাস বা জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে ভুল দেখে, তাহলেই তিনি কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখাবেন।
কথাকাণ্ডের এক অংশে তিনি জানিয়েছেন, কিছু মানুষ তাঁকে ‘জামায়াত-ট্যাগ’ দেওয়ার চেষ্টা করেন; তবে তিনি নিজেকে কোনো তকমায় আবদ্ধ মানেন না এবং ইচ্ছা থাকলে নিজেই ওই সব লেবেল ইনকার করেন। তিনি বলেন, “আপনি আমাকে যাই বলুন, আমি আমার অবস্থানে অটল।”
অতীতে জামায়াতের নায়েবে আমীর বৈঠকে আসার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে তিনি তাদের কাছে তার অভিযোগ তুলে ধরেছেন এবং একই ভুল যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে তা জানিয়েও এসেছেন। বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, দেখা না করার কারণ তারা চাইনি—তবে ব্যক্তিগত অনুত্তাপ বা ভালোবাসা কোনো দলকেন্দ্রিক নয়।
শেষে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, তার প্রধান উদ্বেগ কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়—বরং ভারতের প্রতি অসতর্ক মনোভাব ও আক্রমণাত্মক প্রবণতা। “ভারতপ্রভৃত মনোভঙ্গি দেখলে আমার নীরহ থাকা যাবে না,” যোগ করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
