

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্রায় এক বছর আগে টিকটকের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জের এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রুমন মিয়া (২১)-এর।
পরিচয় থেকেই ধীরে ধীরে প্রেম, আর সেই প্রেমের আট মাস পর গত অক্টোবরে গোপনে বিয়েও করেন তারা। বিয়ের কিছুদিন পর রুমন নববধূকে স্ত্রী পরিচয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
তরুণীর ভাষ্য অনুযায়ী, বাড়িতে আসার পরই বিপত্তি শুরু হয়। দুই-তিন দিন সংসার করার পর পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ডেকে তরুণ-তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
বিয়ের কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে ইউপি সদস্য ও রুমনের পরিবার তরুণীকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
সে সময় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম তরুণীকে আশ্বস্ত করে বলেন-ডকুমেন্ট আনলে বিষয়টি তিনি দেখবেন।
তার ধারাবাহিকতায় (৮ ডিসেম্বর) সোমবার বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জের মাইজবাগ ইউনিয়নের নিজগাঁও গ্রামের রুমনের বাড়িতে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে স্ত্রীর অধিকার দাবি করতে যান তরুণী। রুমন নিজগাঁও গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে।
তরুণী স্ত্রীর অধিকারের দাবিতে বাড়িতে ঢুকতেই রুমনের মা মিনা খাতুন তর্ক-বিতর্ক ও হাতাহাতি শুরু করেন।
পরে তিনি ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে তরুণীকে ভেতরে ঢুকতে দেননি। তরুণীও অধিকার আদায়ের প্রত্যয়ে বারান্দায় চেয়ার এনে বসে থাকেন।
তরুণী বলেন, “রুমন দীর্ঘদিনের প্রেমের পর আমাকে গোপনে বিয়ে করে। পরে আমাকে বাড়িতে এনে দুইদিন সংসার করে।
কিন্তু স্থানীয় মেম্বার আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে থানায় পাঠান এবং নানা বুঝিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠান। অনেকদিন অপেক্ষা করে আজ আবার এসেছি।
কিন্তু মেম্বার আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছেন- বলছেন, আমি বাড়ি না ছাড়লে বখাটেদের দিয়ে হেনস্তা করাবেন। আমি শুধু স্ত্রীর অধিকার চাই। রুমনের সঙ্গে সংসার করতে চাই এবং যারা আমাকে হয়রানিতে ফেলেছে তাদের বিচার চাই।
এ সময় রুমন কিংবা তার বাবা খোকন মিয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
পরে মেম্বার ও পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা হয়। আজ আবার এসে ঝামেলা করছে, তাই ঘরে তালা লাগিয়েছি।”
ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম আকন্দ বলেন, “প্রথমে চেষ্টা করেছিলাম ছেলে-মেয়েকে মিলিয়ে দিতে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখি মেয়েটি সুবিধার না। তাই পুলিশ হেফাজতে পাঠাই। আবার এসেছে-বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি।”
ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম বাবুল বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মেয়ের কাগজপত্র দেখে সঠিক মনে হয়েছে। সমাধানের জন্য মেম্বারকে বলেছি ও থানাকেও জানিয়েছি। যদি মেম্বার মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে থাকেন, তা ঠিক করেননি।”
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস বলেন, “আগেও এই বিষয়ে ওসি মহোদয় আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছিলেন। আজকের ঘটনাটি শুনেছি। মেয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন

