

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে কেন্দ্রীয় নেতা এবং ডাকসু ভিপি পদধারী সাদিক কায়েম কিছু ফেসবুক আইডি ও পেইজের বিরুদ্ধে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছেন বলে অভিযোগো ছাত্রদলের। এই মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে তারা। তারা মনে করে সাদিক কায়েম শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাদিক কায়েম সাইবার মামলার মাধ্যমে অনলাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছেন। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারণে সাদিক কায়েম বাকস্বাধীনতা হরণের আওয়ামী-বাকশালি কৌশল রপ্ত করেছেন।
তার মামলা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা নয়, মিম পেইজ ও ট্রল পেইজ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। এটি ছাত্রশিবিরের অসহিষ্ণুতার প্রকাশ।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পূর্ববর্তী ফ্যাসিবাদী আমলের সাইবার আইন বিলুপ্ত করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথ উন্মুক্ত করেছে। বর্তমানে সাইবার আইনে মানহানি সংক্রান্ত মামলা দায়ের করার সুযোগ নেই। কিন্তু এই আইনের অপব্যবহার করে সাদিক কায়েম শেখ হাসিনার পদাঙ্ক অনুসরণ করেছেন।
তার দায়ের করা অভিযোগ সাইবার সুরক্ষা আইন বা অন্য কোনো আইনের অধীনে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে স্থায়ী নয়। আইনি প্রক্রিয়াকে অপব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করাই তার উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের ২৮ ধারা অনুযায়ী, কেউ জেনেশুনে মিথ্যা মামলা বা অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগকারী সেই অপরাধের জন্য নির্ধারিত দণ্ড ভোগ করবেন।
সম্প্রতি সাদিক কায়েম নিজে জনৈক বিএনপি নেতাকে মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। তার অনুসারী বটফোর্স অনলাইনে ক্রমাগত নারীদের হেনস্তা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর সংঘবদ্ধ সাইবার সন্ত্রাস পরিচালনা করছে।
ডাকসুর ভিপি পদধারী কোনো ছাত্রনেতা কর্তৃক শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সাইবার মামলা দায়ের করা ন্যাক্কারজনক ও নজিরবিহীন। সাদিক কায়েম ডাকসু ভিপি পদকে কলঙ্কিত করেছেন এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে 'ফ্রিডম অব অনলাইন এক্সপ্রেশন'-এর অধিকারকে অবজ্ঞা করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সাদিক কায়েমকে আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের নিকট দুঃখপ্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন

