শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৮ শে অক্টোবর থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান: জামায়াত

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান
expand
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, যারা জনগণের ভোটে বিশ্বাসী নয় তারাই গণভোটকে ভয় পায়।

এজন্য তারা গণভোট আয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার পরিবর্তে সংবিধানের দোহাই দিয়ে ভুল পথ দেখাচ্ছে।

পিআর পদ্ধতিতে জুলাই সনদে অন্তর্ভূক্ত করে জুলাই সনদে প্রস্তাব করার দাবি জানিয়ে বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে নব্য ফ্যাসিবাদের পরিণতি আওয়ামী লীগের মতোই হবে।

তিনি বলেন, বিগত ৫৪ বছর যেই পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেই পদ্ধতিতে জাতি আর নির্বাচন চায় না।

কারণ সেই পদ্ধতিতে জনগণের সরকার গঠিত হয়নি, হবেও না। নির্বাচনের বিদ্যমান পদ্ধতি হচ্ছে সরকারকে স্বৈরাচার হিসেবে তৈরি করার পদ্ধতি। একদলীয় শাসন ব্যবস্থায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি, হবেও না।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা তাণ্ডবে শহীদদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের উত্থান। আওয়ামী লীগ সেদিন সারাদেশে লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনকে তারা হত্যা করে লাশের ওপর নৃত্য করেছে। যেটি মানব সভ্যতার এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ঐ ঘটনার মামলা হলেও শহীদ পরিবার ন্যায় বিচার পায়নি। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসেই সেই মামলা গায়েব করে দিয়েছিল। অধ্যাপক মুজিবর রহমান, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পরিচালিত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী লীগের টার্গেট ছিল জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং সেক্রেটারী জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে সেদিনই হত্যা করা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় মহানগরীর হলরুমে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় শহীদ সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুমের মা শামসুর নাহার রুবি, শহীদ হাফেজ গোলাম কিবরিয়া শিপনের বাবা তাজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন