রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাহাজাহান চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের দাবি বিএনপির

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৫ পিএম আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীর
expand
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীর

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের সাবেক আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য শাহাজাহান চৌধুরীর সাম্প্রতিক বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

বিশেষ করে তাঁর বক্তব্য “প্রশাসন আমাদের নির্দেশে চলবে” নিয়ে চট্টগ্রাম বিএনপি কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং তাঁকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

রোববার চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মো. এরশাদ উল্লাহ ও সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান যৌথ বিবৃতিতে বলেন, শাহাজাহান চৌধুরীর মন্তব্যে পরিষ্কারভাবে স্বৈরাচারী চিন্তাধারার প্রতিফলন দেখা যায়।

তাদের বক্তব্যে আরও বলা হয় এ ধরনের বক্তব্য নির্বাচনি পরিবেশ উত্তপ্ত করা, প্রশাসনকে ভয় দেখানো এবং নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা।

বিবৃতিতে নেতারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার হুমকি এবং ভোট প্রক্রিয়ার ওপর দলীয় প্রভাব বিস্তারের ইঙ্গিত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। তাদের মতে, এই বক্তব্য দেশের নির্বাচনব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরি হুমকিস্বরূপ।

বিএনপি নেতাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এমন মন্তব্য রাজনৈতিক দায়িত্বহীনতার চূড়ান্ত উদাহরণ এবং অতীতের দমননীতির স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। তাঁরা বলেন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল আচরণ জরুরিকিন্তু শাহাজাহান চৌধুরীর বক্তব্য শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি পরিবেশকে বিপন্ন করে তোলার সামিল।

তারা দাবি করেন শাহাজাহান চৌধুরীকে প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করতে হবে, তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে, এবং উসকানিমূলক মন্তব্যের জন্য দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।

শনিবার রাতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনি দায়িত্বশীলদের নিয়ে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এক সমাবেশে শাহাজাহান চৌধুরী এসব বক্তব্য দেন। তিনি সাতকানিয়া আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীও।

সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনাদের এলাকায় যারা প্রশাসনে আছেন, তাদের আমাদের অধীনে আনতে হবে। আমাদের কথায় গ্রেপ্তার হবে, মামলাও হবে।

এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান মঞ্চে ছিলেন না।

আরও বলেন স্থানীয় শিক্ষক, বিদ্যালয়ের কর্মীদের ধানের শীষের পক্ষে জনমত তৈরি করতে হবে। পুলিশ ও প্রশাসনকে প্রার্থীর প্রোগ্রাম অনুযায়ী চলতে হবে্র। ইউএনওদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রার্থীর সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহজাহান গণমাধ্যমকে জানান, শাহাজাহান চৌধুরীর বক্তব্য জামায়াতের নয়, তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তিনি বলেন, প্রশাসনকে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে দলীয় প্রভাব সেখানে কাম্য নয়।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন