

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের মেয়ে ও চিকিৎসক শামারুহ মির্জা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ‘রাজাকারের নাতনী’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, যাদের কাছ থেকে এ ধরনের অপমান এসেছে, তাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখেন- কাউকে দাঁড়িপাল্লার প্রতীক, কাউকে ধর্মীয় বাক্য, আবার কারও প্রোফাইলে বঙ্গবন্ধুর ছবি। তার মন্তব্য—“এরা আসলে ধর্ম আর মূল্যবোধকে কোথায় নিয়ে গেছে!”
শনিবার (২২ নভেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা তুলে ধরেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশে একের পর এক অপপ্রচার, মানহানিকর মন্তব্য এবং মানসিক হয়রানির মুখে পড়ছেন তিনি।
অথচ তার বাবার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়, সেগুলোর কোনোটিই বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না- তিনি অসৎ নন, ঘুষখোর নন, জনগণের বিরোধী নন; বরং তিনি ’৭১–এর ইতিহাসকে শ্রদ্ধা করেন এবং একটি সুস্থ জাতি গঠনের স্বপ্ন দেখেন।
দীর্ঘ ১৫ বছর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার ছিলেন, জেল খেটেছেন, হামলার শিকার হয়েছেন, বাড়িতে বোমা হামলাও হয়েছে। এমনকি ২০১৮ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েও দলীয় অবস্থানের কারণে সংসদে যাননি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সরকারের সময় ঠাকুরগাঁওয়ের উন্নয়নে তার বাবা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কৃষি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। বিমানের ত্রুটি পর্যন্ত তিনি নিজে দেখভাল করেছেন।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুসন্ধানেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পরিবারের উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া জমিও মানুষের কল্যাণে দান করেছেন। “তার হাতে কিছুই নেই—তারপরও আমাকে শুনতে হয়েছে রাজাকারের নাতনী”, বলেন শামারুহ।
তার ভাষ্য, ৫৫ বছর পরও তাদের পরিবারকে প্রমাণ করতে হচ্ছে তার দাদার অবস্থান—যিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় ইসলামপুরের শরণার্থী শিবিরে ছিলেন।
শামারুহ আরও লেখেন, তার বাবা অত্যন্ত আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন মানুষ; তাই এসব অপমান তাকে কষ্ট দেয়। তবে এসব নোংরামিতে তাদের পরিবারের কিছু যায়–আসে না, কারণ এগুলো কোনোভাবেই তাদের মনের ওপর দাগ কাটতে পারে না। সত্যিকারের কষ্ট লাগে জাতির জন্য—যে তরুণ প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, তাদের স্বপ্নকে কলুষিত করা হচ্ছে।
তিনি মন্তব্য করেন, “এই লেখার পরেও হয়তো নতুন বিতর্ক শুরু হবে, কিন্তু তার জবাব আল্লাহই ভালো জানেন। জাতি যেমন, আল্লাহ তার শাসকও তেমন দেন—এটাই বাস্তবতা।”
মন্তব্য করুন
