

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর তিনি ভারতে আশ্রয় নেন এবং সেখান থেকে নিয়মিত বাংলাদেশ সংক্রান্ত মন্তব্য করে আসছেন।
শেষ ১৪ মাস ধরে এ ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য তিনি প্রদান করেছেন। এখন সেই সুযোগ আর তিনি পাবেন না। ভারতীয় কৃর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে। হাসিনার আর কোনো মন্তব্য প্রকাশ করা হবে না।
দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ শ্রী রাধা দত্তর বরাত দিয়ে সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ জানিয়েছেন, ভারত এবার সরাসরি এই কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করছে।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশে বসে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করতে দেওয়া হবে না। মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
মোস্তফা ফিরোজের বরাত অনুযায়ী, সম্প্রতি শেখ হাসিনা ইউটিউব চ্যানেলে জানিয়েছিলেন, “ভারতে শেখ হাসিনার জামাই আদরের সম্পর্ক বন্ধ হওয়ার পথে। তাকে বলা হয়েছে, ভারত থেকে বাংলাদেশ সংক্রান্ত কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না। যদি তিনি এ ধরনের কথা বলেন, তাহলে দুই দেশের সম্পর্ক কখনই ইতিবাচক হবে না।”
ভারত আসন্ন বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে নজর রেখে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, নির্বাচনের পর ক্ষমতায় বিএনপি অথবা জামায়াত সরকার আসতে পারে। ভারত নতুন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে চাইছে।
শ্রী রাধা দত্ত জানিয়েছেন, “ভারত সরকার চাইছে আগামী সরকার যেইই হোক, তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে। সেই জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ নিয়ে উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে দেওয়া হবে না। তবে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে।”
মোস্তফা ফিরোজ আরও বলেন, “ভারতে থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কিত কোনো মন্তব্য করলে তা দুই দেশের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই তাকে এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।”
মন্তব্য করুন
