

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাতীয় নির্বাচনের আগে জামায়াতে ইসলামী মাঠে সক্রিয় হয়ে পড়েছে। দলটি অনুপাতিক ভোট (PR) নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে, পাশাপাশি প্রায় সব নির্বাচনী আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে।
পোস্টারও টানা হচ্ছে এবং স্থানীয় নেতা–কর্মীরা তা মান্য করে প্রচার চালাচ্ছেন।
প্রার্থী বাছাইয়ে তারা পূর্বপ্রথা ছাড়িয়ে কিছু আসনে তরুণ নেতাদের মনোনয়ন দিয়েছে। ফলে প্রবীণ কিছু নেতা বাদ পড়লেও কোনো প্রতিবাদ হয়নি। এতে দলটির সাংগঠনিক শৃঙ্খলা দৃঢ় প্রতিফলিত হচ্ছে।
অন্যদিকে বিএনপি প্রার্থী মনোনয়ন ও দলীয় সংঘাত সমাধানে হিমশিম খাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যে সাত হাজার নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে, তবে মাঠ পর্যায়ে সংঘাত কমানো সম্ভব হয়নি।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানাচ্ছে, গত আগস্ট থেকে মার্চ পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ৫৮ জন নিহত হয়েছেন। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের হিসাব মিলালে এই সংখ্যা শতকের ঘরে পৌঁছাবে।
নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চট্টগ্রাম–৬ (রাউজান) আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাত মারাত্মক। সেখানে প্রার্থী মনোনয়ন প্রার্থীদের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। এ ধরনের অবস্থা দলীয় শৃঙ্খলার জন্য হুমকি স্বরূপ।
বিএনপি এখন প্রার্থী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় মাঠপর্যায়ের সাংগঠনিক দক্ষতা, আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও জনসম্পৃক্ততাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে বড় নেতাদের উপস্থিতি ও প্রভাবের কারণে সিদ্ধান্ত গ্রহণে দেরি হচ্ছে। কিছু আসনে সহযোগী দলগুলোও সংঘর্ষের খবর দিচ্ছে, যা পরিস্থিতিকে জটিল করছে।
অন্যদিকে জামায়াত নারী ভোটারদের কাছে সরাসরি পৌঁছাচ্ছে। কুমিল্লার বরুড়া থেকে তারা ঘরে ঘরে গিয়ে সমর্থন সংগ্রহ করছে। বিএনপিও এখন নারী ভোটারদের লক্ষ্য করে কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে, তবে প্রস্তুতি অন্য দলের তুলনায় দেরিতে। নির্বাচনের মাঠে সক্রিয় থাকার পরও কেন বিএনপি পিছিয়ে পড়ছে—এটি রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রশ্নের মুখে রেখেছে।
সোহরাব হাসান সাংবাদিক ও কবি। ই–মেইল: [email protected]
*মতামত লেখকের নিজস্ব
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
