

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে, তাদের মেয়াদেই নবম পে স্কেল গেজেট আকারে প্রকাশ করা এবং তা কার্যকর করা।
এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, নতুন পে স্কেল ২০২৬ সালের শুরু (জানুয়ারি, মার্চ বা এপ্রিল) থেকে কার্যকর হতে পারে। এ বিষয়ে সরকার গঠিত পে কমিশন জোরেশোরে কাজ করছে।
প্রায় এক দশক পর গঠিত এই পে কমিশন সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি বেতন কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে চলেছে। ২০২৫ সালের পে কমিশন গঠনের ফলে এখন শুধু বেতন বৃদ্ধি নয়, বরং গ্রেডভিত্তিক বৈষম্য কমিয়ে বেতন অনুপাত পুনর্গঠনের দিকেও নজর দিচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা।
জানা গেছে, নতুন কাঠামোয় শুধু মূল বেতন নয়, চিকিৎসা, শিক্ষা ও পদোন্নতিসহ বিভিন্ন ভাতায় যুগান্তকারী পরিবর্তন আসছে।
নবম জাতীয় বেতন স্কেল বাস্তবায়িত হলে কিছু সুবিধা বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর বিকল্প হিসেবে প্রস্তাবে ‘সাকুল্য বেতন’ কিংবা ‘পারিশ্রমিক’ নামে একটি নতুন বেতন কাঠামো গঠনের কথা বলা হয়েছে। এই কাঠামোতে বিদ্যমান বেতন কাঠামোর ভাতাসহ আর্থিক ও অনার্থিক কোনো সুবিধা থাকবে না। প্রস্তাবিত এই পদ্ধতি অনেক উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে চালু আছে।
কমিশন মনে করে, সরকারি সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের জন্য কর্মকর্তাদের প্রদেয় সম্মানী বা অতিরিক্ত ভাতা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
কমিশনের মতে, এসব দায়িত্ব মূল কর্মপরিধির অংশ, তাই অতিরিক্ত অর্থ প্রদান অযৌক্তিক।
এই খাতে সরকারের প্রতিবছর প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়, যা নতুন কাঠামোয় বাতিলের প্রস্তাব রয়েছে।
নবম পে স্কেল চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মতামত গ্রহণের জন্য আজ সোমবার জাতীয় বেতন কমিশন (পে কমিশন) সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৩টি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই তথ্য নিশ্চিত করে পৃথক চিঠি দিয়েছেন জাতীয় বেতন কমিশন ২০২৫-এর সদস্যসচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক।
মন্তব্য করুন
