শুক্রবার
০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশবিরোধী তৎপরতা চালাতে দিল্লিতে আ.লীগের অফিস

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ পিএম আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
expand
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বাংলাদেশবিরোধী তৎপরতা চালাতে দিল্লিতে একটি অফিস নেওয়া হয়েছে। কলকাতায় অফিস নেওয়ার খবরও এর আগে গণমাধ্যমে এসেছিল। পরিকল্পনাকারীরা সেখানে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার কাজ চালাচ্ছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ১৩ নভেম্বর দিনটিকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতা ও বিশৃঙ্খলার নীলনকশা এঁকেছে তার দল কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। তাদের লক্ষ্য, সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করে বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা। এ পরিকল্পনার সমন্বয় করা হচ্ছে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

জানা গেছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা গণহত্যা মামলার রায় কবে হবে। এ জন্য নয়াদিল্লিতে অফিসও নেওয়া হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় নাশকতা পরিকল্পনার মূল সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতে পলাতক সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে। তাকে কৌশলগত সব সহযোগিতা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসবির সাবেক প্রধান, ভারতে পলাতক পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মনিরুল ইসলাম এবং ডিএমপির পলাতক কমিশনার হাবিবুর রহমানকে। এসএসএফের সাবেক ডিজি ও সাবেক কিউএমজি লে. জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমানসহ একাধিক সেনা কর্মকর্তা এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত আছেন।

সূত্র আরো জানায়, এ লক্ষ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বাছাইকৃত নেতাকর্মীদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঢাকায় অস্থিরতা তৈরির মিশন বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে পলাতক সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি লিয়াকত শিকদার, গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এবং যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ওরফে ক্যাসিনো সম্রাট। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসিনার প্রতি নেতাকর্মীদের আবেগকে কাজে লাগাতে চায় পরিকল্পনাকারীরা। এই আবেগকে পুঁজি করে তাদের ১৩ নভেম্বর মাঠে নামানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পারদর্শী এবং আওয়ামী লীগের কট্টর নেতাকর্মীদের ইতোমধ্যেই বাছাই করা হয়েছে। তাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।

নিরাপত্তা সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর অন্তত পাঁচটি স্থানে নাশকতার ডিজিটাল প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ কৌশলের ট্রেনিং দেওয়া হয় বাছাই করা এসব ক্যাডারকে। এই প্রশিক্ষণ দেওয়ার ঘটনায় ইতোমধ্যে মেজর সাদিকুল হক সাদেককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করেছে সেনাবাহিনী। গোপালগঞ্জে অনুকূল পরিবেশে প্রশিক্ষণের কিছু তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশে অবস্থান করা কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার ওপর নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের ওপরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন