

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দীর্ঘ মেয়াদে কারাবন্দী থাকা কয়েদিদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যাবজ্জীবন বা ৩০ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রেয়াতসহ ২০ বছর বা তার বেশি সাজা ভোগ করা ৩৭ জন কয়েদিকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
কারা অধিদফতর নিশ্চিত করেছে যে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই ৩৭ জন বন্দির তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তাদের সাজার মেয়াদ, আচরণ এবং প্রাপ্য রেয়াত বিবেচনা করে এই মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কারা অধিদফতর জানিয়েছে, কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এই ৩৭ জন বন্দির অবশিষ্ট সাজা মওকুফ করে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তারা সবাই রেয়াতসহ ২০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে সাজা ভোগ করেছেন। জেলা কারাগারগুলোর সুপারিশের ভিত্তিতে বন্দিদের এই তালিকা প্রস্তুত করা হয়।
কারা অধিদফতরের সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (উন্নয়ন) মো. জান্নাত-উল ফরহাদ বলেন, যাদের সাজা ছিল ৩০ বছর বা যাবজ্জীবন, তাদের মধ্যে যেসব বন্দি রেয়াতসহ ২০ বছর অতিক্রম করেছে, তাদের মামলা বিচারিকভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বয়স, আচরণ ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে সরকার তাদের অবশিষ্ট সাজা মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, এই আদেশ অনুযায়ী সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ৩৭ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। কারও অবশিষ্ট সাজা ছিল ১০ বছর, কারও ৭ বছর বা ৬ বছর। সবগুলোই মওকুফ করাতে এবার তারা মুক্তি পাবেন।
জান্নাত-উল ফরহাদ নিশ্চিত করেন যে মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে কোনো নারী বন্দি নেই এবং তাদের অধিকাংশই খুন (মার্ডার) মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন কারাগারে সাজা ভোগ করছিলেন।
মন্তব্য করুন
