বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বৃহস্পতিবার
৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আপনি কি দুপুরে ৩০ মিনিট ঘুমাতে পছন্দ করেন? আপনার জন্য সুখবর

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
ছবি: এআই জেনারেটেড
expand
ছবি: এআই জেনারেটেড

দিনের বেলা অল্প সময়ের ঘুম শুধু ক্লান্তি দূর করে না, মস্তিষ্কের বার্ধক্যও রোধ করতে পারে-এমনটাই জানাচ্ছে ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল)–এর সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত দিনে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের স্বল্প সময়ের ঘুম বা ন্যাপ নেন, তাদের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় প্রায় ছয় বছর ছয় মাস কম বয়সী দেখায়।

গবেষকদের মতে, স্বল্প সময়ের এই ঘুমে মস্তিষ্কের কোষগুলো বিশ্রাম পায় এবং নিজেদের পুনর্গঠন করে। এতে ক্ষতিকর উপাদান বা টক্সিন বের হয়ে যায় এবং স্মৃতি সংরক্ষণের প্রক্রিয়া আরও সক্রিয় হয়। ন্যাপের সময় মস্তিষ্কের ‘গ্লিম্ফাটিক সিস্টেম’ সক্রিয় হয়ে বিটা-অ্যামিলয়েড নামের ক্ষতিকর প্রোটিন দূর করে-যা আলঝেইমারসহ মস্তিষ্কের বার্ধক্যজনিত রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত।

গবেষণা বলছে, এই সময়টাকে মস্তিষ্কের জন্য প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে দেখা যেতে পারে। ন্যাপের ফলে নিউরনের মধ্যে যোগাযোগ সাময়িকভাবে থেমে গিয়ে পরে নতুন করে সক্রিয় হয়, যা তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা ও সৃজনশীল চিন্তা বাড়ায়।

ন্যাপ নেওয়া স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল–এর মাত্রা কমায়, যা মস্তিষ্কে প্রদাহ ও ক্লান্তি সৃষ্টি করে। কর্টিসল কমলে মনোযোগ, শেখার ক্ষমতা ও মানসিক প্রশান্তি বৃদ্ধি পায়। ফলে কাজের দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতাও বেড়ে যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সবচেয়ে কার্যকর ন্যাপ হলো ২০–৩০ মিনিটের। ৩০ মিনিটের বেশি ঘুমালে গভীর ঘুমে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে, ফলে জেগে ওঠার পর মাথা ভারী লাগে-যাকে বলা হয় ‘স্লিপ ইনার্শিয়া’। দিনের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো বেলা ২টা থেকে ৩টার মধ্যে, যখন শরীরের তাপমাত্রা সামান্য কমে যায় এবং ঘুম স্বাভাবিকভাবেই আসে।

সূত্র: হেলথলাইন

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন