বুধবার
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বুধবার
২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না নাগরিক ঐক্যের মান্না 

এনপিবিনিউজ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না
expand
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ঋণ খেলাপির তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর ফলে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে মান্নার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান।

মান্নার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, হাইকোর্টের রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করব। এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের বগুড়া বড়গোলা শাখা থেকে একটি ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করা হয়। নোটিশটি পাঠানো হয় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের নামে। এতে প্রতিষ্ঠানটির কাছে বকেয়া বিনিয়োগ বাবদ মোট ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আদায়ের দাবি জানানো হয়।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, মান্না ও তার দুই অংশীদারের ঠিকানায় পাঠানো এই চিঠিতে আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ না হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়।

বগুড়া বড়গোলা শাখার প্রধান তৌহিদ রেজার স্বাক্ষরিত নোটিশটি পাঠানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর ঠিকানায়।

ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আফাকু কোল্ড স্টোরেজে মাহমুদুর রহমান মান্নার মালিকানা ৫০ শতাংশ। বাকি অংশের মধ্যে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম নাজমুল কাদির শাজাহান চৌধুরীর মালিকানা ২৫ শতাংশ এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ইসমত আরা লাইজুর মালিকানা ২৫ শতাংশ।

গত ৩ ডিসেম্বর পাঠানো নোটিশে বলা হয়, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক বাজার এলাকায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ২০১০ সালে ২২ কোটি টাকা বিনিয়োগ অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে মুনাফা, চার্জ ও জরিমানা পরিশোধ না করায় বকেয়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে বেড়ে বর্তমানে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ পরিশোধে কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। সে কারণে চূড়ান্ত সতর্কতা হিসেবে এই ‘কল ব্যাক নোটিশ’ জারি করা হয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ বকেয়া পরিশোধ না করা হলে ব্যাংক আইনি পথে অগ্রসর হবে।

এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক বগুড়া বড়গোলা শাখার প্রধান তৌহিদ রেজা বলেন, ঋণখেলাপি হওয়ার পরও মাহমুদুর রহমান মান্না টাকা পরিশোধে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেননি। প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক হলেও চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ঋণ পরিশোধ না করায় নোটিশ দিতে বাধ্য হয়েছে ব্যাংক।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X