

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির বড় ধরনের ভূমিকম্পের সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন।
শুক্রবারের ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর শনিবার (২২ নভেম্বর) মাত্র ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকায় আরও তিনটি মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘনঘন কম্পন উদ্বেগের বিষয় এবং তা ভালো লক্ষণ হিসেবে বিবেচনার সুযোগ নেই।
ভূমিকম্প মোকাবিলায় বাংলাদেশের বর্তমান সক্ষমতা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বুয়েটের অধ্যাপক ডা. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, দেশটি দীর্ঘদিন ধরেই ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বর্তমানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশকে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে—জোন-১ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ, জোন-২ মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ এবং জোন-৩ তুলনামূলক কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। আবহাওয়া অধিদপ্তরের মানচিত্রেও এসব ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চল উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ‘আর্থকোয়াকট্র্যাকার ডটকম’ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ৯১টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) দুপুরের আপডেটে ওয়েবসাইটটি জানায়, গত সাত দিনে বিশ্বজুড়ে মোট ৮৫২টি ভূমিকম্প হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়, যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৩.৩। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ২৯ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নরসিংদীর পলাশে। একই দিন সন্ধ্যায় আরও দুটি ভূমিকম্প হয়- সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে ৩.৭ মাত্রার এবং এক সেকেন্ড পর ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে সারা দেশ। এই ভূমিকম্পে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। নরসিংদীতে পাঁচ, ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজনের মৃত্যু হয়। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত অনেকেই ভবন থেকে লাফ দেন, কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল ধরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন ভূমিকম্পের ঘটনা বড় ধরনের ভূকম্পনের পূর্বাভাস হতে পারে। তাই জনসাধারণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
মন্তব্য করুন
