

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক সঙ্গীত অনুষ্ঠানে বাউল শিল্পী আবুল সরকার ইসলাম ও আল্লাহকে নিয়ে কটূক্তি করেন। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বহু মুসল্লি ও ধর্মীয় সংগঠন তার গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানায়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নিয়ে ডিবি পুলিশ বিশেষ অভিযানে গত বৃহস্পতিবার ভোরে মাদারীপুর থেকে তাকে আটক করে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
এদিকে আবুল সরকারকে নিয়ে দেশজুড়ে উত্তেজনা চলাকালে পুরুষ বাউল শিল্পীদের নিয়ে নতুন করে কঠোর মন্তব্য করেছেন আরেক বাউল শিল্পী হাসিনা সরকার।
এক ভিডিও বার্তায় এই শিল্পী বলেছেন, নারী বাউল শিল্পীরা বিছানায় না গেলে তাদের কোনো প্রোগ্রামে ডাকা হয় না। এমনকি তিনি নিজেও এরকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন বলে জানান। তবে যাদের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তাদের নাম উল্লেখ করেননি।
হাসিনা সরকার বলেন, বাউলদেরকে বলতাম- আমার তো প্রোগ্রাম নাই, আমার দিকে একটু খেয়াল রাইখেন। তখন তারা বলেন, ‘যদি খেয়াল রাখতে হয় তাহলে কথা শুনতে হবে। যখন ডাকি তখন আসতে হবে’। আমি বলি- ‘আসলে কী হবে’? তখন তারা বলেন- ‘এইটা কি ভেঙে (খুলে) বলতে হবে’। আমি তখন বলেছি- ‘মাফও চাই, দোয়াও চাই।ওই ধরনের প্রোগ্রাম আমার দরকার নাই। আমার ইজ্জত বিক্রি করে আমার প্রোগ্রোম নিতে হবে না। এটাকে বাউল গান বলে না।
তাকেও পুরুষ বাউল শিল্পীরা কুপ্রস্তাব দিতেন দাবি করে এই নারী বাউল বলেন, তারা বেডে (বিছানা) নেয়, আর গান গাওয়ার সুযোগ দেয়। আমি বাউল শিল্পী হয়ে বলছি- এখন বাউল জগতের এরকম পরিস্থিতি হয়ে গেছে। আমাকে যদি কেউ না ডাকে, বায়না না দেয়, আমার কেউ খোঁজখবর না নেয়, তাও আমার কিছু যায় আসে না।আমাকেও বাউলরা এরকম (কুপ্রস্তাব) প্রস্তাব দিয়েছেন, তারা বলেছেন- ‘আমাদের কথা শুনবি, তোকে বায়না দেব’।
মন্তব্য করুন
