

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এবারের নির্বাচনে নারী ভোটাররা হতে চলেছেন মূল পরিবর্তনকারক। দল বা প্রতীকের চেয়ে তারা প্রার্থীকে বেছে নেবেন যোগ্যতার ভিত্তিতে। নারীরা জানিয়েছেন, কর্মসংস্থান, নিরাপত্তা এবং অধিকার সুনিশ্চিত করতে সক্ষম প্রার্থীকে তারা সমর্থন দেবেন।
স্বাধীনতার সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত মেহেরপুরের ছোট্ট এই জনপদে এবারের নির্বাচনের হাওয়া বইছে নারী ভোটারদের উপস্থিতিতে। জেলার সরকারি কলেজ চত্বরে দেখা মিলল কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর। তাদের প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। তাদের প্রধান চাওয়া হলো বৈষম্যহীন বাংলাদেশ, নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং সমঅধিকারের নিশ্চয়তা।
এক নারী শিক্ষার্থী বলেন, আমরা যদি ভুল প্রার্থীকে বেছে নিই, তবে আমাদেরই বেশি দুর্ভোগ হবে।
অন্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, যে প্রার্থী আমাদের জন্য ভালো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সক্ষম, তাকে আমরা সমর্থন দেব।
আরেকজন যোগ করেন, ভোট দেওয়ার পর প্রার্থীরা আমাদের দিকে তাকায় না; উল্টো আমরা তাদের কাছে যাই কোনো প্রয়োজনের ক্ষেত্রে, কিন্তু তারা দেখা দেয় না।
নারী ভোটাররা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছেন প্রার্থীদের কর্মকাণ্ডে—মাদকের থাবা রোধ, অনলাইন জুয়া নিরসন এবং সামাজিক ও প্রশাসনিক কাঠামো বোঝার ক্ষমতা থাকাটিও তাদের বিবেচনায়। একাধিক নারী ভোটার জানিয়েছেন, তারা দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে সক্ষম প্রার্থীকে প্রাধান্য দেবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার নারীরা প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন এবং ভোটের চিত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারেন।
মেহেরপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক নাহিদ আন্দালিব বলেন, নারী ভোটাররা নিজেদের চিন্তাধারা অনুযায়ী প্রার্থী নির্বাচন করবেন। কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে তারা ভোট দেবেন, এমনটি মনে হয় না।
মেহেরপুর সরকারি গাংনী ডিগ্রি কলেজের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক মন্তব্য করেছেন, নারীদের গুরুত্ব বোঝা প্রয়োজন। তাদের সংখ্যা কম নয় এবং তারা দিন দিন আরও সচেতন হয়ে উঠছেন। গ্রাম-শহর উভয় ক্ষেত্রেই নারীরা ভোটের বড় অংশ।
মেহেরপুরের দুটি আসনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৮০ হাজার ৫৪১। এর মধ্যে নারী ভোটার আছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৭৪৯।
মন্তব্য করুন
 
                    