

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


‘সবাই মিলে গড়বো দেশ, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর গণশুনানি।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সাহিত্য মঞ্চে এই গণশুনানির আয়োজন করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঝিনাইদহ। সহযোগিতায় ছিল চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি।
এদিন শুনানিতে ৯৫টি অভিযোগ গৃহীত হয়। এর মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৩টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়, ৭টি অভিযোগ খারিজ এবং বাকি অভিযোগগুলোর সমাধান জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন দুদকের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জালাল উদ্দীন আহমেদ।
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ শুনে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মহসিন আলী, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাসসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সতর্ক করেন দুদক চেয়ারম্যান।
এছাড়া বিআরটিএ, রেজিস্ট্রার অফিস, খাদ্য বিভাগ, ওজোপাডিকো, বিএডিসি ও পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম, দালালচক্র ও দুর্নীতির অভিযোগও উত্থাপিত হয়। এসব অভিযোগের কয়েকটি তাৎক্ষণিকভাবে যাচাইয়ের নির্দেশ দেন ড. মোমেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, 'চুয়াডাঙ্গায় পাওয়া অভিযোগগুলোকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণের সম্পৃক্ততাই দুদকের প্রধান শক্তি। অনিয়ম যেখানেই হোক, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'পূর্ববর্তী সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্য ও অবৈধ টাকার প্রবাহ বেড়ে যায়- এ জন্য এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে। সৎ ও যোগ্য মানুষকেই নেতৃত্বে আনতে হবে।'
চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধেও দুদকের তদন্ত ও মামলা চলছে। অনেক দুর্নীতিবাজ দেশত্যাগ করেছেন, কেউ কেউ সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গণশুনানিতে দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় পরিচালক জালাল আহমেদ, চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসেরসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সাধারণ নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
