

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন সব সময়েই ছাত্ররাজনীতির বড় মঞ্চ। এ অঙ্গনে ইসলামী ছাত্রশিবিরও সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিল বহুবার।
সংগঠনটির জন্মের পর থেকে ডাকসুর ইতিহাসে তারা ছয়বার নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে খুব বেশি সাফল্য তাদের হাতে আসেনি।
দীর্ঘ বিরতির পর ডাকসু নির্বাচন
প্রায় ছয় বছর পর আবারো ডাকসু নির্বাচন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসে। নতুন করে নানা সংগঠন সক্রিয় হয়েছে। ছাত্রদল, ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন ইতোমধ্যে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে।
ফলে এবারের নির্বাচন শুধু শিক্ষাঙ্গনে নয়, জাতীয় রাজনীতিতেও তাৎপর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
অতীতের অংশগ্রহণ
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে ১৯৮০, ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৯ এবং ১৯৯০ সালের ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
১৯৮০ সালে ‘তাহের-কাদের পরিষদ’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল গঠন করে শিবির।
১৯৮১ সালের নির্বাচনে তাদের একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮২ সালে এনামুল হক মঞ্জু ও আব্দুল কাদের বাচ্চু ভিপি ও জিএস পদে লড়াই করেন। এ সময় তাদের এক নির্বাচনী মিছিলে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।
১৯৮৯ সালে ‘শামসু-আমিন পরিষদ’ নামে প্যানেল গঠন করে ভিপি ও জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির।
১৯৯০ সালের নির্বাচনে তারা কেন্দ্রীয় তিনটি পদে প্রার্থী দেন।
জয়-পরাজয়ের চিত্র
তথ্য অনুযায়ী, ডাকসুর কেন্দ্রীয় কমিটিতে শিবিরের প্রার্থী মাত্র একবার জয়ী হয়েছিলেন (১৯৮১ সালে একজন নির্বাহী সদস্য)। তবে হল সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন সময়ে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা একাধিক পদে জয় পেয়েছে।
১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালের নির্বাচনে তারা তৃতীয় স্থানে অবস্থান করেছিল বলে দাবি করেন সংগঠনটির সাবেক নেতারা।
২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে শিবির অংশ নেয়নি। তবে তাদের কিছু প্রার্থী হলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছিলেন বলে জানা যায়।
ডাকসু ভবন ও শিবিরের লোগো
মন্তব্য করুন