রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসমান হাদীকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল 

জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:২২ পিএম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
expand
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদীর ওপর দুর্বৃত্তদের গুলিবর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিন টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা স্থান থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভবন, ট্রান্সপোর্ট, চৌরঙ্গী হয়ে উপাচার্য বাসভবন পর্যন্ত যায়। এরপর জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষার্থী শিক্ষকদের দ্রুততম সময়ে বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

মিছিলে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন জুলাই আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী কাজল মিয়া।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা, 'হাদী ভাইকে গুলি করে, ইন্টেরিম কি করে?' 'ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ,' 'হাদী ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে,' 'বিচার বিচার বিচার চাই, সন্ত্রাসীদের বিচার চাই' 'একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর'-সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেয়।

এ সময় জাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মাজহারুল ইসলাম বলেন, “আজ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এবং প্রশাসনের গড়িমসির ফলেই এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা হাদি ভাইয়ের সুস্থতা কামনা করি ও এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করি এবং দ্রুততম সময়ে অপরাধীকে সনাক্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।"

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উপস্থিতিতেই জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষক- কর্মকর্তাদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলানোর ঘোষণা দেন তিনি।

জাকসুর সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আহসান লাবিব বলেন, “অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়- অভ্যুত্থানপন্থী সরকার বা প্রশাসন দাবি করলেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন জুলাই হামলায় জড়িত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। আমরা এই প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই। স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই—যে প্রশাসন রক্তের বিচার করতে পারে না, সেই প্রশাসনের সাথে আমাদের কোনো সহযোগিতামূলক সম্পর্ক থাকতে পারে না।”

তিনি বলেন, “আজ হাদী ভাইয়ের ওপর গুলি হয়েছে, কাল আমার ওপর হবে, পরশু আপনার ওপর হবে। প্রশাসন চেয়ারে বসে তামাশা দেখবে, তা হতে পারে না। এই হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও জবাবদিহিতার অভাবের ফল। যেহেতু প্রশাসন ও রাষ্ট্র সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই আমাদের ওপর এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চলছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিচার যেমন আমরা করেছি, শিক্ষকদেরও বিচার আমরা নিশ্চিত করবো। ওসামান হাদীর এই গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়, আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।”

তবে বিচার নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার কারনে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন তিনি।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X