

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ঢাকা কলেজে শিক্ষকদের লাঞ্ছনার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশের সরকারি কলেজগুলোতে কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। এর ফলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিনভর এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারের কর্মকর্তারা কালো ব্যাজ পরে কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল এবং সদস্য সচিব ড. মো. মাসুদ রানা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে বিস্তারিত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের ওপর কিছু দুষ্কৃতিকারীর হামলা ও টিচার্স লাউঞ্জে ভাঙচুরের ঘটনায় শিক্ষক সমাজ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটি জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দাবি করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ঢাকাসহ দেশের সব সরকারি কলেজের শিক্ষকরা আজ কর্মস্থলে থাকলেও ক্লাস এবং প্রশাসনিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন। কর্মসূচি সফল করতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সব সদস্যদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
এ বিষয়ে নেতারা বলেন, “শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ও শ্রদ্ধার পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে আরও অস্থির না হয়, সে জন্য সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
সোমবার সকালে, ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি আইন–২০২৫’ দ্রুত কার্যকরের দাবিতে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা করে। এই সময় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক শিক্ষার্থী শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে ‘দালাল’ মন্তব্য করলে উত্তেজনা বাড়ে। শিক্ষকরা তাকে কমনরুমে নিয়ে আটকে রাখেন, পরে তার সহপাঠীরা প্রশাসনিক ভবন ঘেরাও করে তাকে মুক্ত করে আনে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
মন্তব্য করুন
