

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের দুই পুঁজিবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক সূচক এক শতাংশেরও বেশি কমে গেছে। একই দিন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচক ও লেনদেন উভয়ই নিম্নমুখী ছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেনের শুরুতে ডিএসই সূচক কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও ২৫ মিনিট পর থেকেই বিক্রির চাপ বাড়তে থাকে। এতে সূচক ক্রমান্বয়ে নিচে নামতে থাকে। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৪.৮৭ পয়েন্ট কমে ৫,০৬১ পয়েন্টে নেমে আসে।
নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএস-৩০ কমে ২১.৯৫ পয়েন্টে দাঁড়ায় ১,৯৬১ পয়েন্টে, আর শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস সূচক হারায় ১২.৩৬ পয়েন্ট, দাঁড়ায় ১,০৬৭ পয়েন্টে।
সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার।
লেনদেনের দিক থেকেও বাজারে ধীরগতি ছিল। সোমবার ডিএসইতে ৫১৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়, যা আগের কার্যদিবসের ৫৪৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকার তুলনায় ৪.৮ শতাংশ কম। মোট ৩৯৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৪৫টির, কমেছে ৩০০টির, অপরিবর্তিত ছিল ৫৩টি।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের দখলে ছিল সর্বাধিক ১২.৬ শতাংশ লেনদেন, যা বাজারের শীর্ষে অবস্থান করে। এরপর যৌথভাবে প্রকৌশল খাত ১১.৬ শতাংশ এবং বস্ত্র খাত ১০.৫ শতাংশ লেনদেন নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল। ব্যাংক খাত ৯.২ শতাংশ এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত ৭.৩ শতাংশ লেনদেনের অংশ নিয়েছে।
একটি খাত বাদে সব খাতেই এদিন নেতিবাচক রিটার্ন দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ে জীবন বীমা খাত, যার রিটার্ন নেমেছে ৩.৬ শতাংশে।
এছাড়া কাগজ ও মুদ্রণ এবং সিরামিক খাতে ৩ শতাংশ, বস্ত্র ও সাধারণ বীমা খাতে ২.৪ শতাংশ পতন হয়েছে। তবে বিপরীতে, পাট খাত এদিন ৩.৪ শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন দিয়ে একমাত্র উজ্জ্বল খাত হিসেবে অবস্থান করে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও একই চিত্র দেখা যায়। সোমবার সিএসইর নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স ৪৯.৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়ায় ৮,৭৭৭ পয়েন্টে, আর সিএএসপিআই সূচক হারায় ৮৮ পয়েন্ট, নামিয়ে আনে ১৪,২২৬ পয়েন্টে। এদিন ১৯৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৪২টির, কমেছে ১২৬টির, অপরিবর্তিত ছিল ২৫টি।
লেনদেনেও ওঠানামা দেখা গেছে—সোমবার সিএসইতে ২৪ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়, যা আগের দিনের ১৬ কোটি ৫২ লাখ টাকার চেয়ে কিছুটা বেশি।
মন্তব্য করুন
 
                    