

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এখন থেকে ব্যাংক হিসাবধারীদের সবাইকে আর আবগারি শুল্ক দিতে হবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো হিসাবের সর্বোচ্চ স্থিতি (ব্যালেন্স) যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তবেই শুল্ক কাটা হবে। আগে এই সীমা ছিল এক লাখ টাকা। ফলে সাধারণ গ্রাহকরা এবার কিছুটা আর্থিক স্বস্তি পাচ্ছেন।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে (২০২৪–২৫) এই পরিবর্তন ঘোষণা করা হয়, যা কার্যকর হয়েছে জুলাই থেকে। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের হিসাবে নির্ধারিত হারে শুল্ক কেটে নেয়, এবং গ্রাহকের মুঠোফোনে টাকা কর্তনের বার্তা পাঠায়।
অর্থাৎ, বছরে একবার যদি কোনো ব্যাংক হিসাবে তিন লাখ টাকার বেশি অর্থ জমা থাকে বা ব্যালেন্স পৌঁছায়, তাহলেই সেই হিসাবে শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
| হিসাবের স্থিতি | আবগারি শুল্ক (টাকা) |
|---|---|
| ৩ লাখ টাকার নিচে | কোনো শুল্ক নেই |
| ৩ লাখ ১ – ৫ লাখ | ১৫০ টাকা |
| ৫ লাখ ১ – ১০ লাখ | ৫০০ টাকা |
| ১০ লাখ ১ – ৫০ লাখ | ৩,০০০ টাকা |
| ৫০ লাখ ১ – ১ কোটি | ৫,০০০ টাকা |
| ১ কোটি ১ – ২ কোটি | ১০,০০০ টাকা |
| ২ কোটি ১ – ৫ কোটি | ২০,০০০ টাকা |
| ৫ কোটি টাকার বেশি | ৫০,০০০ টাকা |
প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো গ্রাহকের হিসাবের স্থিতি যদি একবারও তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তাহলে নির্ধারিত হারে শুল্ক কাটা হবে।
একাধিকবার ওই সীমা অতিক্রম করলেও, বছরে একবারই শুল্ক কাটা হয়। তবে একজন গ্রাহকের বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক হিসাব থাকলে, প্রতিটি হিসাব থেকে পৃথকভাবে শুল্ক কর্তন করা হবে।
উদাহরণস্বরূপ, যদি কোনো ব্যক্তির তিনটি ব্যাংক হিসাবে ৪ লাখ টাকা করে থাকে, তবে প্রতিটি হিসাব থেকে ১৫০ টাকা করে মোট ৪৫০ টাকা শুল্ক কাটা হবে। সাধারণত ডিসেম্বরের শেষ কর্মদিবসে ব্যাংকগুলো এই অর্থ কেটে নেয়; কখনো কখনো জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও কর্তন হয়।
আবগারি শুল্ক কাটা হয় প্রায় সব ধরনের ব্যাংক হিসাব থেকে....
সঞ্চয়ী (Savings Account)
চলতি হিসাব (Current Account)
মেয়াদি আমানত (FDR)
ডিপোজিট পেনশন স্কিম (DPS)
বেতনভিত্তিক হিসাব (Salary Account)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়াতে এই শুল্ক আদায় করে। ব্যাংকগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের হিসাব থেকে অর্থ কেটে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়।
এই করের উদ্দেশ্যগুলো হলো...
সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিধি বৃদ্ধি করা
উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের করের আওতায় আনা
ব্যাংক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা
আর্থিক শৃঙ্খলা ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর প্রশাসন গড়ে তোলা
মন্তব্য করুন
