

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকে চলছে নজিরবিহীন শুদ্ধি অভিযান। চাকরিবিধি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে একসঙ্গে আরও ২০০ কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় দফায় ছাঁটাইয়ের ফলে এখন পর্যন্ত মোট ৪০০ কর্মী চাকরি হারালেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এ ঘটনাকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, এ পদক্ষেপ দক্ষতা যাচাই ও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষার অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) পরিচালিত ‘বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা’কে ঘিরেই প্রক্রিয়াটি শুরু হয়।
ওই পরীক্ষায় অংশ নেন ৪১৪ জন কর্মী, যার মধ্যে ৩৬৪ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। বাকি ৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া প্রায় ৫ হাজার কর্মীকে আপাতত ওএসডি (বিশেষ দায়িত্বে সংযুক্ত) করা হয়েছে।
ব্যাংকের ভেতরের সূত্রগুলোর দাবি, ছাঁটাই হওয়া অনেকেই কেবল অযোগ্যতার কারণে নয়, বরং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার, সহকর্মীদের বাধা প্রদান ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার মতো কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে চট্টগ্রামের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপ ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকে বহু কর্মীকে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই সরাসরি সিভির ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের বড় অংশই চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে ব্যাংকের প্রায় অর্ধেক কর্মী ওই অঞ্চলের মানুষ।
ইসলামী ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ড. কামাল উদ্দীন জসীম বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য কাউকে ছাঁটাই করা নয়; দক্ষতা যাচাই ও বৈধতা নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।’
মন্তব্য করুন
