

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গেল কয়েক বছর ধরে বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে খেজুর। রমজান মাসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত খাবার খেজুরের আমদানি বেড়েছে চলতি ২০২৫ সালে। আমদানি বাড়লেও খেঁজুরের দাম এবার কমবে না বলে জানিয়েছেন ফল আমদানিকারকরা। তারা বলছেন, আমদানি করতে মার্জিন কমালেও ট্যাক্স কমায়নি সরকার। যে কারণে এবারও খেঁজুরের দাম কমবে না।
আসছে ফেব্রুয়ারি মাসে পালিত হবে মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজান। সংযমের এ মাসে দেশের নিত্যপণ্যের বাজার সবসময় চড়া থাকে।
এ মাসে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে খেজুরের। সারা বছরের বিক্রির চেয়ে রমজান মাসেই বেশি বিক্রি হয় খেঁজুর। এবারও খেঁজুরের দাম সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরেই থাকবে বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও গেল বছরের তুলনায় আমদানি বেশি হচ্ছে এ বছর।
চলতি ২০২৫ সালে আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে রোজার পণ্য আমদানিতে মার্জিন সর্বনিম্ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর সুবিধা নিয়ে ব্যবসায়ীরা নভেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত খেঁজুর আমদানির জন্য এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) খুলেছে ১১ হাজার মেট্রিক টনের। যা আগের ২০২৪ সালের সারা বছরের তুলনায় ৮ হাজার মেট্রিক টন বেশি।
বাংলাদেশে সাধারণত ৭ ধরণের খেজুর বেশি বিক্রি হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় জাহেদি খেঁজুর। দাম কম হওয়ায় এ জাতের খেঁজুরের চাহিদা অন্যান্য সব খেঁজুরের চেয়েও বেশি। এছাড়া আজওয়া, মেডজুল, মরিয়ম, সুক্কারি ও মাবরুম জাতের খেঁজুরের চাহিদাও রয়েছে দেশের বাজারে।
হাদিসে আজওয়া খেজুরের নাম উল্লেখ থাকায় এ জাতের খেঁজুরের চাহিদা অন্যান্য খেঁজুরের চেয়ে কিছুটা বেশি। এছাড়া মরিয়ম প্রজাতির খেঁজুর নরম ও বড় হওয়ায় উচ্চবিত্তের কাছে এ জাতের চাহিদা রয়েছে। মেডজুল ও মাবরুম প্রায় একই জাতের হলেও মেডজুলের চাহিদা বেশি। মেডজুলের বড় সাইজের খেঁজুরের দাম ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হয়।
আমদানি বাড়লেও খেজুরের দাম না কমার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন অতিরিক্ত করের কথা। পলাতক স্বৈরাচার হাসিনার সরকার থাকাকালীন ডলারের অতিরিক্ত চাহিদার ফলে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানিকৃত ফলের উপর ৫৯ শতাংশ কর আরোপ করে ফল আমদানিকে নিরুৎসাহিত করে সরকার।
বাদামতলী ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এনপিবি নিউজকে বলেন, ‘আমদানিতে মার্জিন কমানোয় আমদানি বেড়েছে। কিন্তু এতে করে দাম কমবে না। কারণ এখনো কর কমায়নি সরকার। আমি এক কনটেইনার খেজুরে ৫৯ লাখ টাকা ট্যাক্স দিয়েছি। আমার ব্যবসা তো সারা বছর নয়। রোজার মাসেই ব্যবসা করতে হয়। এত টাকা ট্যাক্স দিয়ে খেঁজুর আমদানি করে তো কম দামে বিক্রি করা যাবে না।’
বাদামতলী পাইকারী ফল মার্কেটের ব্যবসায়ী নূর নবী এনপিবি নিউজকে বলেন, ‘খেজুরের মূল্য আসলে নির্ধারিত হয় ভ্যাট-ট্যাক্সের উপরে। এখনো ট্যাক্স অনেক বেশি। গতবার রোজায় ট্যাক্স শেষ মূহুর্তে এসে কিছুটা কমায় সরকার। যার কারণে তখনই খেঁজুরের দাম কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা পর্যন্ত কমে যায়। এবার এখনো ট্যাক্সের পরিমাণ কমানোর কোনো ঘোষণা আসেনি। অবশ্য সময় এখনো আছে। যদি ট্যাক্স কমানো হয় তবে খুবই সাশ্রয়ী দামে খেঁজুর ক্রেতাদের দেওয়া যাবে।’
মন্তব্য করুন