

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন বলেছেন, ‘দেশের অর্থ পাচার করে বিদেশে নিয়েছে এরকম ১০/১২টি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চিহ্নিত করেছে সরকার। এসব কুলাঙ্গারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ঢালাওভাবে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা ঠিক হবে না। তাতে ব্যাংক ব্যবস্থার প্রতি এক ধরনের আস্থাহীনতা তৈরি হবে।’
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) আয়োজিত মাসিক সামষ্টিক অর্থনীতি পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বাধীনতা, ব্যাংক একীভূতকরণসহ নানা ইস্যু উঠে আসে।
ড. ফরাসউদ্দীন বলেন, বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক খাতে অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে, যা উৎসাহিত করা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির ঘটনা ঘটলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়া মুদ্রানীতি আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে। তবে কারও পরিবারের সদস্য অপরাধে জড়িত না হলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, “রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর এক হয়ে যাওয়া দেশের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে যেখানে অর্থনীতির আকার ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার, আজ তা অনেক গুণ বেড়েছে। মাথাপিছু আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু ধন-সম্পদ এখনও অল্প কিছু মানুষের হাতে কেন্দ্রীভূত।”
দেশের কর কাঠামো প্রসঙ্গে সাবেক গভর্নর জানান, বর্তমানে মাত্র ৪০ লাখ মানুষ আয়কর দেন। প্রতিবছর করদাতার সংখ্যা অন্তত ২০ লাখ বাড়ানো গেলে একই ব্যক্তিদের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমবে।
তিনি সিএমএসএমই খাতকে (ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ) শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এই খাতে কম সুদের ঋণ এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করতে হবে। এতে বৈষম্য হ্রাস পাবে, কর্মসংস্থান বাড়বে এবং বেকারত্ব কমবে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    