

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারও বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ কনজুমার প্রাইস ইনডেক্স প্রতিবেদনে দেখা যায়, নভেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশে, যা অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।
নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৭ দশমিক ৩৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ।
তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমেছে—নভেম্বরে হার দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০৮ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।
বিবিএস জানায়, কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ওঠানামার মধ্য দিয়ে গেলেও এটি এখনো ৮ শতাংশের ঘরেই স্থির রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, গত তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বজায় রয়েছে। ২০২৪–২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।
নভেম্বর মাসে জাতীয় মজুরি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ দশমিক ০৪ শতাংশ, যা মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম। ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে না—বরং চাপ আরও বাড়ছে। গত দুই–তিন বছর ধরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সুদের হার বাড়ানো, তেল–আলু–পেঁয়াজ–ডিমসহ নিত্যপণ্যে শুল্ক কমানো এবং আমদানি প্রবাহ সচল রাখার উদ্যোগ নেওয়া হলেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে তেমন সুফল মিলছে না।
বিবিএসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ২৬ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই মাসে গ্রামে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৭ দশমিক ২৭ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এদিকে শহরে নভেম্বর মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ, যা অক্টোবর মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ।
মন্তব্য করুন

