

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর এক বছর পেরিয়ে গেলেও দেশে প্রত্যাশিত পরিবর্তন আসেনি, বরং আগের মতো লুটপাটই চলছে—এমন অভিযোগ করেছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মু. দেলাওয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, “শুধু নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়েছে, কাজের ধরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি।” তাঁর মতে, এখনো টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর দুর্নীতি বিদ্যমান।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের ভূল্লী থানা শাখা আয়োজিত এক নির্বাচনি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
দেলাওয়ার হোসেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যারা এই বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, ইতিহাসে তাদেরও একই পরিণতি দেখতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, জনগণ এখন প্রকৃত পরিবর্তন চায় এবং সেই পরিবর্তনের নেতৃত্বে তারা জামায়াতে ইসলামীকেই দেখতে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ছাত্রশিবির ক্যাম্পাসে নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছে এবং শিক্ষার্থীরা সেটিকে সমর্থন করেছে।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি অভিযোগ করেন, অতীতে নির্বাচিত এমপি ও মন্ত্রীরা এলাকার দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেননি; বরং নিজেদের ও দলের স্বার্থই দেখেছেন। তাঁর মতে, সদিচ্ছা থাকলে এতদিনে ঠাকুরগাঁওয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল স্থাপন করা যেত, বন্ধ বিমানবন্দর চালু করা যেত এবং কাঁচা রাস্তাগুলো পাকা করা যেত।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশে জামায়াতের এই নেতা বলেন, “ইসলামই তাদের সবচেয়ে বড় সুরক্ষার নিশ্চয়তা।” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, দেশে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘু বিভাজন থাকবে না; সবাই সমান অধিকার পাবে। জামায়াত ক্ষমতায় এলে সুশাসন নিশ্চিত করা হবে, সংখ্যালঘুদের মর্যাদা, সম্মান ও নিরাপত্তা রক্ষা করা হবে এবং মেয়েদের স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়ে কোনো উদ্বেগ থাকবে না।
সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা মো. হাফিজ উদ্দিনসহ স্থানীয় ও শহর শাখার ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
