

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পাগনার হাওর বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত একটি হাওর, যা বর্ষাকালে উত্তাল ঢেউ এবং করচ বাগানের জন্য পরিচিত। এই হাওরের ফেনারবাক ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে প্রায় ১৫০ শতাধিক পরিবারের বসবাস।
এই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষ কৃষি ও মৎস্যজীবী। দারিদ্রসীমার নিচে তাঁদের বাস। আর্থিক সংকটের কারণে অনেক পরিবারের ছেলেমেয়ে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। দারিদ্রসীমার নিছে থাকা মানুষগুলোর সন্তানদের জন্য গ্রামে নেই প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা।
হাওরের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন নাজুক পরিস্থিতি নজরে আসলে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শিশুদের জন্য স্কুল করার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে স্কুলের শিশু-শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনা মূল্যে শিক্ষা উপকরণসহ নানা সেবা প্রদানের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দেন। মাহবুবুর রহমান সুনামগঞ্জ ১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন স্কুলে শিশু-শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণসহ নানা সেবা প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে শিক্ষার হার বাড়ানো জরুরি। হাওরের শিশুদের শিক্ষা বঞ্চিত রাখার সুযোগ নেই।”
স্থানীয়দের বক্তব্যে জানা যায়, বর্ষার সময় হাওরের এলাকা পানিতে ডুবে যায়। এতে শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষায় বাধা সৃষ্টি হয়। অনেক শিক্ষার্থী পাশের গ্রামে গিয়ে বা আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতে বাধ্য হয়। বর্ষার ছয় মাসে বিদ্যালয়ে যাতায়াত প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
রসুলপুর গ্রামের লালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেছেন, “বর্ষায় স্কুলে যেতে পারি না। আমাদের গ্রামে স্কুল হলে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে পারতাম। মাহবুব চাচ্চু বলছেন স্কুল দিবেন, এতে খুব খুশি লাগছে।”
গ্রামের সৈয়দুর রহমান বলেন, “অতদিন নেতারা শুধু আশ্বাস দিয়েছিলেন। মাহবুব ভাই এসে স্কুল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা খুব খুশি এবং তাঁর জন্য দোয়া করি।”
জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উপজেলার বিশটিরও বেশি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। রসুলপুর গ্রামে স্কুল নির্মাণ এক আনন্দের খবর, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে।
জামালগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পীযুষ কান্তি মজুমদার বলেছেন, “প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিশুদের শিক্ষা বঞ্চিত হয়। ব্যক্তি উদ্যোগে স্কুল নির্মাণ করলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”
মাহবুবুর রহমান জানান, হাওরের পানি শুকিয়ে গেলে জানুয়ারি মাসে স্কুলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এতে শিশুরা নতুন বছরের শুরুতেই বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। এছাড়া তিনি আশেপাশের অন্যান্য গ্রামে স্কুল চালু করার বিষয়েও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    