

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপি ধর্মকে রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না, বরং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী— এমন মন্তব্য করেছেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও সাংবাদিক সাঈদ খান।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পিরোজপুর সদর উপজেলার নামাজপুর গ্রামে এক উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বিএনপি মনে করে, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। ধর্মীয় দোহাই দিয়ে রাজনীতি নয়, বরং ন্যায় ও সম্প্রীতিই বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি।”
সাঈদ খান বলেন, বিএনপি ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে না। আমরা সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী, সকল ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষই এ দেশের নাগরিক। জান্নাত-জাহান্নাম নির্ধারণের রাজনীতি আমরা করি না, আমরা করি জনগণের অধিকার ও মর্যাদার রাজনীতি।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কিছু মহল তথাকথিত ‘পিআর’ (পাওয়ার রিস্টোরেশন বা পির-তরিকাভিত্তিক প্রভাব) এর নামে রাজনীতিতে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। তাদের লক্ষ্য নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ রক্ষা, জনগণের নয়। এই তথাকথিত পিআর রাজনীতির মাধ্যমে কয়েকজন নির্দিষ্ট নেতাকে সংসদে পাঠানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কিছু পক্ষ চায় বাংলাদেশে যেন সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়, শান্তি ও গণতন্ত্র ফিরে না আসে। এই ষড়যন্ত্রে দিল্লি ও বর্তমান সরকার একসঙ্গে কাজ করছে। তারা দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় না।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে গিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে, সেই এখন বিদেশ থেকে রাজনীতি করছে। যখন রাজপথে নিরীহ মানুষকে গুলি করা হয়েছে, দাড়ি-টুপি পরা মানুষকে জঙ্গি তকমা দেওয়া হয়েছে, শিক্ষককে অসম্মান করা হয়েছে— তখন তারা নীরব থেকেছে।
সাঈদ খান বলেন, যারা বলছে পিআর না হলে নির্বাচনে যাবে না, তারাই আবার ৩০০ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে। এ কেমন ভণ্ডামি? আসলে তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
তিনি জনগণকে সতর্ক করে বলেন, এই মোনাফেক রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে। জনগণের ভোটেই সরকার গঠিত হবে, পিরের আশীর্বাদে নয়।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, এই নির্বাচন হবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের লড়াই। বিএনপি জনগণের দল, শান্তি ও সমৃদ্ধির দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ‘ভিশন ২০৩০’ এবং তারেক রহমানের উপস্থাপিত ৩১ দফাই হচ্ছে মুক্তির সনদ।
তিনি আরও বলেন, আমি নিজের জন্য ভোট চাই না, আমি চাই ধানের শীষে ভোট দিন। আমি দলের একজন কর্মী ও সম্ভাব্য প্রার্থী মাত্র। দল যদি মনে করে আমি উপযুক্ত, তবে মনোনয়ন দিতে পারে— আমি কাজ করছি শুধু দলের জন্য।
উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাধারণ জনগণ।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    