

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় কবরস্থানের জায়গা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাছের সরদারবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনার পরে দশমিনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে; মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে বলে নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাছের সরদার বাড়ির যৌথ কবরস্থানের জমি নিয়ে চাচাতো ভাইদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রোববার সকালে এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হলে তা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়। উভয় পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ ৭ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে দশমিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ঘটনার পরপরই এক পক্ষ লাঠিসোটা নিয়ে হাসপাতালে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুই পক্ষের আহতরা হলেন— মইফুল বেগম (৬০), সাইফুল ইসলাম (৩০), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রিমা বেগম (২৭); মো. রতন সরদার (৯৫), তার মেয়ে অলি বেগম (৩৬), তহমিনা বেগম (৩৫) ও মতিউল ইসলাম (৪০)।
আহত রতন সরদার জানান, ‘আমার ভাতিজা আব্দুল হাই ও সাইফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে কবরস্থানের জায়গা নিয়ে বিরোধ করে আসছে। দুই-তিন দিন আগে পুলিশ এসে মীমাংসা করেছিল। কিন্তু আজ সকালে তারা আবার আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
অন্যদিকে অপর পক্ষের আব্দুল হাই বলেন, ‘আমরা কোনো সংঘর্ষ চাই না। কবরস্থানের জায়গা নিয়ে তারা উল্টো আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং পরে হাসপাতালে গিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান চাই।’
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আলিম বলেন, “এটি কবরস্থানের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ হতে পারে। ঐ বাড়িতে এর আগেও মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। আজও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
