

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের শীতপ্রধান জেলা পঞ্চগড়ে ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে তাপমাত্রার পারদ। সকাল-সন্ধ্যার বাতাসে এখনই হালকা শীতের ছোঁয়া অনুভূত হচ্ছে।
তবে দিনভর সূর্যের তেজে তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রির ঘরে থাকে। ফলে জেলার জনজীবনে শীত ও গরমের মিশ্র আবহ তৈরি হয়েছে।
রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। এর আগের দিন শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাৎ একদিনে প্রায় অর্ধ ডিগ্রি কমেছে।
ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত চারপাশ ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে। স্কুলগামী শিশু, ভোরের শ্রমজীবী মানুষ ও চা-বাগানের শ্রমিকদের গায়ে দেখা যাচ্ছে হালকা চাদর বা গামছা।
চা শ্রমিক ইমন তরফদার বলেন, “ভোরে কাজ শুরু করতে গেলে এখন ঠান্ডা লাগে। হাতে-মুখে কুয়াশার পানি পড়ে শীত ধরে।”
ভ্যানচালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, “সকালে ভ্যান নিয়ে বের হলে হাত কাঁপে, রোদ উঠলে আবার গরম লাগে। এই সময়টা কেমন অদ্ভুত লাগে।”
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন,
“বর্তমানে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। নভেম্বরের শেষ দিকে তা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এরপর ডিসেম্বর মাসজুড়ে পঞ্চগড় ও আশপাশের এলাকায় একাধিক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তর দিক থেকে প্রবাহিত ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শীতের আগমন আগেভাগেই টের পাওয়া যাচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরে শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব আরও তীব্র হতে পারে।
মন্তব্য করুন