

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পঞ্চগড় সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের মালাদাম বাজার থেকে নলেহাপাড়া পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে ছিল খানাখন্দে ভরা। টানা বৃষ্টিতে কাঁদাজলে চলাচল দুর্বিষহ হয়ে পড়েছিল এলাকাবাসী ও আশপাশের তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য।
দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি স্থানীয়ভাবে কয়েক দফা সংস্কার হলেও টেকসই সমাধান হয়নি। বর্ষার কাদা আর গর্তের কারণে ইজিবাইকসহ ছোট যানবাহন মাঝপথে আটকে যাচ্ছিল, অনেক শিক্ষার্থী কাদায় পড়ে আহতও হচ্ছিল।
অবশেষে ভোগান্তি কমাতে নিজেরাই উদ্যোগ নিল শিক্ষার্থীরা। মালাদাম আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক দুপুরের বিরতিতে কাদা সরিয়ে খানাখন্দে বালি ফেলে সড়কটিকে সাময়িকভাবে চলাচলের উপযোগী করে তোলেন।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জুই আক্তার বলেন, “প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে আসতে খুব কষ্ট হয়। কাদা আর গর্তে পড়ে বইপত্র ভিজে যায়, আঘাত পাই। তাই নিজেরাই রাস্তা মেরামত করলাম।”
একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়ন্ত চন্দ্র রায় জানান, “অনেক দিন ধরে কষ্ট করে যাতায়াত করছিলাম। আজ একসঙ্গে মেরামত করলাম, তবে চাই রাস্তা যেন স্থায়ীভাবে পাকা করা হয়।”
স্থানীয় বাসিন্দা প্রসন্ন চন্দ্র রায় বলেন, “এই সড়ক দিয়ে অন্তত তিন ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষ চলাচল করেন। কৃষিপণ্য নিয়ে বাজারে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়, অনেক সময় ঘুরপথে যেতে হয়।”
মালাদাম আদর্শ দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম জানান, সড়কটি একাধিকবার সংস্কার করেও সমস্যা দূর করা যায়নি। “দ্রুত সড়কটি পাকা করার উদ্যোগ নেওয়া না হলে মানুষের কষ্ট থেকে যাবে,” বলেন তিনি।
ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবছরই অন্তত তিনবার সংস্কার করতে হচ্ছে, তবুও সমাধান হচ্ছে না। তাই দ্রুত পাকা করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    