

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভূমি দাও, ঘর দাও এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিদ্ধিরগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিজেসির সাবেক শত শত শ্রমিক ও কর্মচারীরা।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বিজেসি এলাকায় বাংলাদেশ জুট কর্পোরেশন (বিজেসি) প্রেস হাউজে বসবাসরত সাবেক শ্রমিক, কর্মচারী ও ক্ষুদ্র লীজিগণদের দখলে থাকা ৪ একর জমি হস্তান্তর এবং ভূমিহীনদের পূনর্বাসনের দাবিতে এ মানববন্ধন করা হয়।
সাবেক বিজেসি গোদনাইল শ্রমিক, কর্মচারী ও ক্ষুদ্র লীজিগণ পূনর্বাসন কমিটির সভাপতি আমান হোসেন প্রধানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বিমল চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিজেসি গোদনাইলের সাবেক কর্মচারী হাজী মো: জয়নাল আবেদীন।
মানববন্ধনে হাজী জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি ১৯৬১ সালে বিজিসিতে চাকরীতে অংশগ্রহণ করি এবং বর্তমানেও যুক্ত রয়েছি। বিগত ৫০ বছর আগে থেকে যারা চাকরীজীবি ছিলেন তাদের ছেলে-মেয়েরা আজও চাকরী করে এই বিজিসির বাসস্থানে লীজ ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন। এখানে যারা বসবাস করছে সবাই ছিন্নমূল, কারো কোন বাড়ি-ঘর নাই। তাদের কোন জায়গা-জমি নেই। ১৯৯৩ সালে বিজিসি বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে এখানে কেউ ফ্রি থাকে না, সবাই ভাড়া দিয়ে বসবাস করছেন। আমরা জানতে পেরেছি বিজিসি এই সামান্য গরীব কর্মচারীর বসবাসের স্থানটা অন্য জায়গায় হস্তান্তর করছে। তাহলে আমরা কোথায় যাব। আমাদের ভূমিহীনদের যদি একটা বিকল্প স্থান করে দিয়ে বিজিসি তার জমি অন্যত্র হস্তান্তর করে তাহলে আমাদের কোন আপত্তি নেই।
মানববন্ধনে বক্তারা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের পাট উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, বিগত ফ্যাসীবাদী সরকার কখনোই শ্রমিক, কর্মচারী ভূমিহীনদের উচ্ছেদ করতে চেষ্টা করেন নি। এখানে হাজার হাজার শ্রমিক বসবাস করে। আপনারা ক্ষণিকের জন্য কারো ক্ষতি কইরেন না। আমরা সরকারের কাছে আবেদন করব যেন এই গরীব-দু:খীদের উচ্ছেদ না করে এবং টাকার বিনিময়ে এই সম্পত্তি অন্যকারো কাছে হস্তান্তর না করে। যদি টাকার বিনিময়ে হস্তান্তর করতে হয় তাহলে এই লিজিদের, গরীব-দুঃখীদের ব্যবস্থা করে দেন। এতে করে সবার জন্যই ভাল হবে। এসময় শত শত নারী-পুরুষ এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
