শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঁশের মই বেয়ে উঠতে হয় সেতুতে, ভোগান্তিতে গ্রামের মানুষ

এস এম মিজানুর রহমান মজনু, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৬ এএম
১৪ ফুট এবং অপরপাশে ১৬ ফুট উচ্চতায় বাঁশের মই দিয়ে সেতুতে উঠতে হয়
expand
১৪ ফুট এবং অপরপাশে ১৬ ফুট উচ্চতায় বাঁশের মই দিয়ে সেতুতে উঠতে হয়

ময়মনসিংহের ভালুকায় সোনাখালী-পাঁচগাঁও নেওরা নদীর খালের ওপর ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর কাজ এক বছর আগে শেষ হলেও উভয়পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি কার্যকর হয়নি।

একপাশে প্রায় ১৪ ফুট এবং অপরপাশে ১৬ ফুট উচ্চতায় বাঁশের মই দিয়ে সেতুতে উঠতে হয়, যা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

স্থানীয়রা বলছে, দুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুর উভয়পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে জনস্বার্থে সেতুটি চালু করা হোক তাদের দাবি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ভালুকা উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের সোনাখালী ও পাঁচগাঁও নেওরা নদীর খালের ওপর ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে এলজিইডির তত্ত্বাবধানে আরসিসি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও উভয়পাশে সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে জনগণের জন্য এটি কার্যকর হয়নি।

সরেজমিনে দেখা যায়, সোনাখালী ও পাঁচগাঁওসহ কয়েক গ্রামের মানুষ, এক সময় নেওরা নদীর খালের ওপর কাঠের সেতু থাকাকালীন খালের উভয়পাশের মানুষ তাদের উৎপাদিত ফসল, গৃহস্থালি কাজে, সামগ্রী ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে আসা-যাওয়া করতেন তারা। কিন্তু কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে বাঁশের মই দিয়ে ওই সেতু পার হতে হয়।

অপরদিকে, ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি সেতুর বিপরীতে থাকায় জনসাধারণ তাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম করতে চরম ভোগান্তিতে পোহাচ্ছেন।

পাঁচগাঁও গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিন পাঠান জানান, ব্রিজের সংযোগ সড়ক না করায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী ও মালামাল নিয়ে পরিবহন করতে না পারায় এলাকার সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন যাবৎ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

একই গ্রামের কৃষক শহিদুল্লা জানান, এ রাস্তাটি বন্ধ থাকার কারণে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে তাদের উৎপাদিত ফসল নিয়ে মল্লিকবাড়ি ও ভালুকা বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যান। এতে তাদের পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় উপযুক্ত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক শিশু মই বেয়ে ব্রিজে উঠতে না পারায় স্কুলে যাওয়া থেকে বিরত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিতি এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার পরিচয়ে মজিবুর রহমান জানান, বর্ষার কারণে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়নি, পানি কমলে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হবে।

এ বিষয়ে ভালুকা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মহিদুল আলম জানান, বর্ষা মৌসুমে তারা ঠিকাদারের কাছ থেকে ব্রিজের কাজ বুঝে নেননি। এমনকি বিলও পরিশোধ করেননি, উপযুক্ত সময়ে কাজ বুঝে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন