

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর দক্ষিণ পাশে ককটেল বিস্ফোরণে বিএনপি নেতা কামাল জামান নূরউদ্দীন মোল্লার পাঁচ-ছয়জন বিএনপির নেতা-কর্মীরা গুরুতর আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে শিবচর-জাজিরা সীমানা সংলগ্ন কুতুবপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী সন্ত্রাসী লীগ ঘোষিত লকডাউনের সময় হঠাৎ করে এলাকায় তীব্র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
ওই সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিএনপির নেতা-কমীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার পরপরই বিএনপি নেতা কামাল জামান নূরউদ্দীন মোল্লার নির্দেশে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন খান, সদস্য সচিব সোহেল রানা, এবং যুগ্ম আহ্বায়ক সাজু মোল্লার নেতৃত্বে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত ককটেল বিস্ফোরণে বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন।
আহতরা হলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, শাজাহান মোল্লা সাজু (৭২) জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪৫) তাঁতী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, শাজাহান মোল্লা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা, রনি বেপারী, যুবদল নেতা, ইমন ব্যাপারী যুবদল কর্মী।
আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশের বক্তব্য এ বিষয়ে শিবচর থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাস্থল পদ্মা থানা এলাকার মধ্যে পড়েছে। পদ্মা থানা পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে।
পদ্মা থানার অফিসার ইনচার্জও বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান মোল্লা সাজুসহ পাচজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন খান অভিযোগ করে বলেন “নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দখলের চেষ্টা চালায়। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রতিরোধে গেলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা ককটেল ও অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়।
আহত বিএনপি নেতাকর্মীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দলীয়ভাবে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, শিবচর উপজেলা এবং আশপাশের এলাকার নিষিদ্ধ আওয়ামী সন্ত্রাসী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সরাসরি এ হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে রয়েছেন- ডাঃ সেলিম ঢালী (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান), আওলাদ খান (সাবেক পৌর মেয়র), একেএম নাসির (উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক), প্রদ্যুৎ কুমার (সহ-প্রচার সম্পাদক), ইলিয়াস পাশা (যুবলীগ সভাপতি), খাইরুজ্জামান (যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক), রাজিব ঢালী (ছাত্রলীগ সভাপতি), আসিফ মাদবর (ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক), কুতুবপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মাদবর, কাদিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী নেতা গফফুর মুন্সী সোহাগসহ শতাধিক আ.লীগ কর্মী।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এরা ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়, গাড়িতে আগুন দেয় এবং ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। বিএনপি নেতাকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে গেলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
ঘটনার পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পদ্মা থানা ও শিবচর থানা যৌথভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জ এ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ আব্দুল মাবুদ।
উপজেলা বিএনপি জানিয়েছে, তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে।
মন্তব্য করুন