

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) লালমনিরহাট জেলা শাখায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল দেখা দিয়েছে। এই বিভেদ লালমনিরহাট-২ (কালীগঞ্জ-আদিতমারী) সংসদীয় আসনের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হয়েছে।
দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যাতে ‘বিরোধ-বিভেদ’ দেখা না দেয়, সে জন্য স্থানীয় দুই শীর্ষ নেতাকে সভা-সমাবেশ আয়োজন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) লালমনিরহাট জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীন স্বপন স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠি দুটি পাঠানো হয়েছে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. রোকন উদ্দিন বাবুল এবং কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমকে তারা সম্পর্কে দু’জন ভাই।
উভয় চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তারা যে ধরনের সভা-সমাবেশ আয়োজন করছেন, তার ফলে তৃণমূল রাজনীতিতে নেতাকর্মীদের মধ্যে চরমভাবে বিরোধ ও বিভেদের সৃষ্টি হচ্ছে। চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, বিএনপি কর্তৃক মনোনয়ন সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত জনসংযোগ ব্যতিত বিরোধ ও বিভেদের সৃষ্টি হয় এমন ধরনের সভা-সমাবেশ না করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
লালমনিরহাট-২ সংসদীয় আসনটি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দখলে রেখেছিলেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজামান আহমেদ। অতীতে এই আসনটি জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আসনটিতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যায়। এই আসনে বিএনপির পক্ষ থেকে সাবেক সংসদ সদস্য সালেহ উদ্দিন আহমেদ হেলালসহ চারজন মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।
চিঠি প্রসঙ্গে জানতে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. রোকন উদ্দিন বাবুল এবং কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
কালীগঞ্জ যুবদলের সদস্য সচিব কুদরতি মেহেরবান মিঠু বলেন, “বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমল থেকে আমরা রংপুর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নির্দেশনায় দলকে সুসংগঠিত করে আসছি। লালমনিরহাট-২ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। সেই দ্বন্দ্ব নিরসন এবং ধানের শীষের সুনাম যেন নষ্ট না হয়, এ জন্য দলীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”
মিঠু বলেন, আগামী দিনে বিএনপি থেকে যিনি ধানের শীষের মনোনয়ন পাবেন, তার পক্ষে কাজ করতে কর্মীরা প্রস্তুত রয়েছেন।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জয়নাল আবেদীন স্বপন বলেন, সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দলের মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই সম্ভাব্য প্রার্থীদের পৃথক সভা-সমাবেশ আয়োজনের ফলে অভ্যন্তরীণ বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। এই বিভাজন থামাতে জেলা বিএনপি সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, এরপরেও যদি তারা সভা সমাবেশ করেন, তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন