

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা প্রথম শ্রেণির মর্যাদা পেলেও সেবার দিক থেকে এখনো পিছিয়ে। নিয়মিত কর বাড়ালেও নাগরিক সুবিধার তেমন উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
ভাঙাচোরা সড়ক, ড্রেনেজ সংকট, জলাবদ্ধতা আর বিশুদ্ধ পানির অভাবে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে।
১৯৯৪ সালে নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত রায়পুর পৌরসভা ২০০৪ সালে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয়। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও অবকাঠামো ও নাগরিক সেবায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি। স্থানীয়দের ভাষায়, করের বোঝা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু সুবিধা তেমন বাড়েনি।
সরাসরি ঘুরে দেখা গেছে— অনেক সড়কই ভাঙাচোরা অবস্থায়, কোথাও বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে, কোথাও যান চলাচল প্রায় অচল। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়, কারণ কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। নির্দিষ্ট ডাস্টবিনের অভাবে রাস্তার ধারে পড়ে থাকে আবর্জনা।
৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সালমা চৌধুরী বলেন, রাস্তার বেহাল অবস্থায় চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়েছে, বিশেষ করে রাতে।
৫নং ওয়ার্ডের আবুল বাসার ক্ষোভ জানিয়ে বলেন,কর দিলেও কোনো সুবিধা মিলছে না। পানির সংকট আর রাস্তার দুরবস্থা নিত্যদিনের সঙ্গী।
১নং ওয়ার্ডের ফয়েজ আহম্মদ বলেন, সড়কবাতি না থাকায় সন্ধ্যার পর পুরো এলাকা অন্ধকারে ডুবে যায়। এতে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।
অটোরিকশা চালকরা জানান, সড়কের বড় বড় গর্তে প্রায়ই তাদের গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। যাত্রীদেরও উঠতে অনীহা থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা।
পৌর প্রশাসক মো. ইমরান খান জানান, বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে নিয়মিত উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে কয়েকটি সড়ক সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে, কিছু কাজ শুরু হয়েছে। পানি ও ড্রেনেজ সমস্যার সমাধানে প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছে, অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ পেলে ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন হবে।
প্রায় ৫০ হাজার মানুষের এই পৌরসভার অধিকাংশ সড়ক চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানির ঘাটতি, ড্রেনেজ বিপর্যয় আর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবে প্রতিদিনের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে দুর্ভোগ আরও বাড়বে।
মন্তব্য করুন
