শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তাড়াইলে সম্প্রীতির বার্তা ছড়ালো ধর্মীয় সংলাপ

তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ০২:০৮ পিএম
ছবি সংগৃহীত
expand
ছবি সংগৃহীত

“সহিংসতা নয়, শান্তি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ি”— এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ধর্মীয় সম্প্রীতি সংলাপ।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর ২০২৫) সকাল ১১টায় তাড়াইল থানা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এই সংলাপের আয়োজন করে পিস ফ্যাসিলিটর গ্রুপ(পিএফজি), তাড়াইল, কিশোরগঞ্জ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাব্বির রহমান। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম।

এই সংলাপ আয়োজন করা হয় Multi-stakeholder Initiative for peace and Stability (MIPS) প্রকল্পের আওতায়। কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্যের ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর সহযোগিতায়।

পিস ফ্যাসিলেটর গ্রুপ (পিএফজি) তাড়াইল উপজেলা কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক রবীন্দ্র সরকারের সঞ্চালনায় শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের করণীয় শীর্ষক আন্ত:ধর্মীয় সম্প্রীতি সংলাপে বক্তারা বলেন, সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ববোধ ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের ঐক্যই পারে একটি শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।

তাছাড়া সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য করণীয় সম্পর্কে বক্তারা বলেন,সহনশীলতা ও শ্রদ্ধা চর্চা অন্য ধর্ম, মত ও বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা,নিজ ধর্ম সঠিকভাবে পালন করা,নিজের ধর্মের মূল শিক্ষা জানা ও তা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বা কথোপকথনে অন্য ধর্ম নিয়ে কটূ মন্তব্য বা মিথ্যা প্রচার না করা,মানবিক মূল্যবোধ চর্চা, সত্যবাদিতা, সহমর্মিতা, ভালোবাসা ও দয়া—সব ধর্মের অভিন্ন মূল্যবোধ এগুলো পালন করা।

সমাজ ও সম্প্রদায় পর্যায়ে করণীয়-আন্ত:ধর্মীয় সংলাপে বিভিন্ন ধর্মের মানুষদের নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠান আয়োজন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিশু-কিশোরদের মধ্যে ধর্মীয় সহনশীলতা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া।কোনো ধর্ম বা সম্প্রদায় সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ালে তা যাচাই করে শান্তভাবে মোকাবিলা করা। ধর্ম নির্বিশেষে একে অপরের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়ানো।

ধর্মীয় উস্কানী বা সহিংসতার বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।সব ধর্মের উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালনে প্রশাসনের সহযোগিতা নিশ্চিত করা।গণমাধ্যমে সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন