

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) গাজীপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আফজাল হোসেন নামে একজন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে যে আমি চাঁদা নিয়েছি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
বাস্তবতা হলো, আফজাল আমার পূর্বপরিচিত। ২০২৪ সালের ২৮ জুলাই মো. আফজাল হোসেন ঢাকার প্রগতি সরণিতে আমার ছেলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এম/এস কার সাম্রাজ্য থেকে একটি নোহা স্কয়ার হাইব্রিড (চ্যাসিস নং ZWR80-0441220, ইঞ্জিন নং 2ZR-OF48281) গাড়ি ৪০ লক্ষ টাকায় ক্রয় করে। এ সময় জামানত হিসেবে ১০ লক্ষ টাকার ব্যাংক চেক জামানত রাখে। পরে দুই মাস পর, ১ অক্টোবর, পূবালী ব্যাংক পিএলসি টঙ্গী শাখা থেকে আফজাল হোসেন ২০ লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে আমাকে টাকা প্রদান করে। পরবর্তীতে বাকি টাকা ধাপে ধাপে পরিশোধ করে।
আফজাল হোসেন আমাকে পাওনা টাকা দেওয়ার সময় গোপনে ভিডিও ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এতেও ক্ষান্ত হয়নি চক্রান্তকারীরা। কাশিমপুরে আমার ক্রয়কৃত সম্পত্তি বিষয়ে আফজাল ও সাইফুল ইসলামের মধ্যে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে তারা আমার কাছে আসে, এবং আমি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করি। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে প্রচার করা হয়েছে। এসব অপপ্রচারের বিরুদ্ধে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন বাদী হয়ে ২৬/১০/২০২৫ ইং তারিখে মো. আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত–৫-এ মানহানির মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া তিনি আরও বলেন, আফজাল আসলে আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি নিজেকে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়কসহ আরও অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর সঙ্গে তার পোস্টার রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে, পুরো বিষয়টা একটি রাজনৈতিক কূটকৌশল। আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে হেয় করাই এর আসল উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা দেওয়া হয়েছিল। এসব মামলায় আমি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও কাশিমপুর কারাগারে জেল খেটেছি। আমি জাতীয়তাবাদী আদর্শকে সমুন্নত রাখতে কখনো অন্যায় কিংবা আওয়ামী লীগের কাছে নতি স্বীকার করিনি।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
