

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২০১৩ সালে সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আন্তর্জাতিক প্রাণী বিপণন প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্স–এর মাধ্যমে ১২টি জিরাফ আনা হয়। পরবর্তীতে অনুকূল পরিবেশে ওই জিরাফগুলো থেকে আরও ৪টি শাবকের জন্ম হয়। ফলে পার্কে গড়ে ওঠে ১৬ সদস্যের এক প্রাণবন্ত জিরাফ পরিবার।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে একে নিঃশেষ হয়ে যায় সেই পরিবার। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে কমন ইল্যান্ডে আহত হয়ে একটি জিরাফ মারা যায়। এরপর ২০১৯ সালের জুলাইয়ে অসুস্থ হয়ে আরও বেশ কয়েকটি জিরাফসহ মোট ১৩টি মারা যায়। বাকি দুই জিরাফও পরবর্তী সময়ে মারা যায়।
শেষ আশার আলো ছিল একটি স্ত্রী জিরাফ, যা দীর্ঘদিন ধরে টিবি রোগে আক্রান্ত ছিল। তাকে সুস্থ করতে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। গত বৃহস্পতিবার রাতে সেটি মারা যায়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে পার্কের ভেতরেই মাটিচাপা দেওয়া হয় জিরাফটির দেহ।
সহকারী বনসংরক্ষক ও পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক রহমান জানান, “শেষ জিরাফটির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সাফারি পার্ক থেকে সম্পূর্ণভাবে জিরাফের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে।”
শ্রীপুর থানার ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, “জিরাফটির মৃত্যুর পর পার্ক কর্তৃপক্ষ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে।”
একসময়ের আনন্দের প্রতীক সেই জিরাফ পরিবারের স্মৃতি এখন কেবলই অতীত—নির্জন সাফারি পার্কে যেন ভেসে বেড়ায় তাদের হারিয়ে যাওয়ার নিঃশব্দ প্রতিধ্বনি।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
