

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের কিশামত সদর গ্রামে একটি অসুস্থ গরু জবাইয়ের পর অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার গ্রামের বাসিন্দা মাহবুর রহমানের একটি গরু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে সেটি জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করেন কয়েকজন। এ কাজে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকদিনের মধ্যে শরীরে ফোসকা ও ঘা দেখা দেয়। কারও হাত, মুখ, চোখ ও নাকে পচনের মতো উপসর্গও দেখা দিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে মোজা মিয়া, মোজাফফর মিয়া, শফিকুল ইসলাম ও মাহবুর রহমান অসুস্থ অবস্থায় গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দিবাকর বসাক বলেন, “অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে কয়েকজন রোগী আমাদের হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে গাইবান্ধা ও রংপুর মেডিকেলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “এই রোগে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কয়েকদিনের নিয়মিত চিকিৎসায় রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। অ্যানথ্রাক্স ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না, শুধু অসুস্থ গবাদি পশু থেকে ছড়ায়। তাই অসুস্থ গবাদি পশু জবাই না করার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এর আগে এভাবে একসঙ্গে এত মানুষ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে এখন গরু-ছাগল জবাইয়ে ভয় পাচ্ছেন।
মন্তব্য করুন
