

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


কুমিল্লায় ‘ঝটিকা মিছিলের’ অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতভর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন দাউদকান্দি উপজেলা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহাগ মিয়া (৪০), মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পাপন লাল (৫৫), বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর নুর তুষার (২৮), কুমিল্লা উত্তর জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য শের-এ-আলম, মুরাদনগর উপজেলার পূর্ব ধইর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন (৪৫), বরুড়ার ঝলম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মো. শরিফ উদ্দিন, মুরাদনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সম্রাট, লাকসামের আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী ইয়াছিন, নাঙ্গলকোটের ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান ভূঁইয়া ও রাব্বি মজুমদার রাফি, সদর দক্ষিণের আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদ আলম, যুবলীগ নেতা আব্দুল হালিম, অভি আহমেদ মাসুম, আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন কবির, ছাত্রলীগ নেতা মো. ফারুক হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, দেবিদ্বার উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লিয়ন, মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. মকবুল হোসেনসহ মোট ৪৫ জন নেতা-কর্মী।
জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ, জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও নিরাপত্তা বিঘ্নের অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিদেশে পলাতক একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজন নেতা স্থানীয়ভাবে অর্থ পাঠিয়ে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে উসকানি দিচ্ছেন। তাঁদের অর্থায়নে শুক্রবার ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে সংক্ষিপ্ত এক ‘ঝটিকা মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ জানায়, ওই মিছিলে অংশ নিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে টাকার বিনিময়ে লোক জড়ো করা হয়। অনেকেই মুখে রুমাল বা মাস্ক পরে নিজেদের আড়াল করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কিছু উসকানিমূলক পোস্টের মাধ্যমে আত্মগোপনে থাকা কয়েকজন ওই মিছিলে অংশ নিতে উৎসাহ দেন।
এ বিষয়ে কুমিল্লা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ বলেন, “গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই আগের মামলা রয়েছে। নতুন মামলার প্রস্তুতিও চলছে।”
জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান বলেন, “বিদেশে পলাতক ও নিষিদ্ধ সংগঠনের কয়েকজন নেতা স্থানীয়ভাবে অর্থ পাঠিয়ে সরকার পতনের উদ্দেশ্যে ঝটিকা মিছিল ও আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি।”
মন্তব্য করুন