

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে থাকা চকচকে সাদা একটি অ্যাম্বুলেন্স এখন যেন সময়ের সাক্ষী। চার বছর ধরে একটিবারও চালু হয়নি এর ইঞ্জিন। অথচ এর ভেতরে রয়েছে উন্নত আইসিইউ সুবিধাসম্পন্ন অত্যাধুনিক লাইফ সাপোর্ট ব্যবস্থা, যার কাজ হওয়া উচিত ছিল মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচানো। কিন্তু অযত্ন-অবহেলায় আজ সেই যানটি নিজেই যেন রোগীতে পরিণত হয়েছে।
হাসপাতালের ২৫০ শয্যার নতুন ভবনের এক কোনে পড়ে আছে ভারত সরকারের উপহার পাওয়া আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সটি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত এটি পড়ে ছিল জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ভেতরে। তখনও যেমন নড়াচড়া হয়নি, এখনো তেমনিই আছে এটি।
২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারত সরকারের উপহার হিসেবে বাংলাদেশে আসে এমন ১০৯টি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সের একটি। সেদিন রাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আঙিনায় পৌঁছায় এ অ্যাম্বুলেন্সটি। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তরও করা হয়। কিন্তু তারপর আর কিছুই ঘটেনি।
প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও টেকনিশিয়ান না থাকায় আজও চালু হয়নি এ প্রাণরক্ষাকারী যানটির সেবা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তার ভাষায়, 'গাড়ি আছে, কিন্তু চালানোর ঘোড়া নেই।'
চুয়াডাঙ্গা জেলায় এখনো কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আইসিইউ সেবা চালু হয়নি। প্রতিদিন সদর হাসপাতাল থেকে বহু মুমূর্ষু রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠানো হয়। সেখানে এই অ্যাম্বুলেন্সটি সচল থাকলে অনেক জীবন হয়তো বাঁচানো সম্ভব হতো।
সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিদ্যুত কুমার রায় বলেন, 'লাইফ সাপোর্টযুক্ত এই অ্যাম্বুলেন্সটি সচল করার মতো জনবল আমাদের নেই। আইসিইউ ইউনিট চালুর বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। ইউনিট চালু হলেই অ্যাম্বুলেন্সটি কার্যকর করা যাবে।'
একই কথা জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. হাদী জিয়া উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, 'এটি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অধীনে আছে। প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও টেকনিশিয়ান না থাকায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
